রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মার্চে চাঁদপুর থেকে কক্সবাজার যাবে মেঘনা এক্সপ্রেস

চাঁদপুর প্রতিনিধি
  ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
মার্চে চাঁদপুর থেকে কক্সবাজার যাবে মেঘনা এক্সপ্রেস

চাঁদপুর-চট্টগ্রামে রুটে মেঘনা এক্সপ্রেস নামে একটি আন্তঃনগর ট্রেন ১৯৮৫ সালে চালু হয়। তবে চালুর পর থেকে একই রেক (কোচ) দিয়ে ট্রেনটি পরিচালিত হয়ে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে রেলেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে। ট্রেন চলাচলে গড়ে উঠেছে আধুনিক ব্যবস্থা। যদিও এর কোনো সুবিধা পায়নি মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেন। অথচ এটি অন্যতম একটি লাভজনক রুট।

এসব বিষয়কে সামনে রেখে মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনকে আধুনিকায়ন ও ট্রেনের গন্তব্যস্থল চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত বর্ধিত করার জন্য দাবি জানায় ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরাম। এর অংশ হিসেবে ফোরামের পক্ষ থেকে সম্প্রতি রেলপথ বিভাগের মন্ত্রীর কাছে আবেদন?ও করা হয় ফোরামের পক্ষ থেকে। ফোরামের আবেদনের সঙ্গে একমত পোষণ করেন রেলমন্ত্রী মো. জিলস্নুল হাকিম। তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশনা দেন।

এর অংশ হিসেবে অবশেষে বুধবার রেলের পরিচালক (ট্রাফিক কন্ট্রোল) মো. মিজানুর রহমান জানান, ফোরামের আবেদন রেলপথ মন্ত্রণালয় গুরুত্বের সাথে নিয়েছে। মেঘনা ট্রেনের পুরনোর্ যাক পরিবর্তন করে অবমুক্ত হওয়া অন্য রেক সংযোজন করা হবে এ মাসেই। মার্চের মধ্যেই মেঘনা ট্রেনের কক্সবাজার পর্যন্ত রুট বর্ধিত করা হবে। এছাড়া চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটের যাত্রী চাহিদার কথা বিবেচনা করে আরও একজোড়া আন্তঃনগর ট্রেন দেওয়ার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হবে।

পরিচালক

জানান, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের বিষয়টি ফোরামের চিঠির কপিসহ পূর্বাঞ্চল রেলওয়েকে অবহিত করা হবে। এরপর দ্রম্নতই তা বাস্তবায়ন করা হবে।

এই বিষয়ে ফোরামের সভাপতি এবং দৈনিক যুগান্তরের সিটি এডিটর মিজান মালিক বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরাম চাঁদপুরবাসী এবং চাঁদপুরের মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। মেঘনা ট্রেনের বিষয়টিও তেমনই একটি উদ্যোগ। রেলপথে চাঁদপুরের মানুষের দুর্দশা লাঘবে আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তিনি জানান, ইলিশের রাজধানী চাঁদপুরকে একটি পর্যটন জোন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ফোরামের পক্ষ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করছে। প্রস্তাব রাখা হয়েছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও চাঁদপুরের পৌর মেয়রের কাছেও।

ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এবং স্বদেশ বাংলার সম্পাদক একেএম রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, ফোরাম এ পর্যন্ত অনেকগুলো জনবান্ধব উদ্যোগ নিয়েছে। প্রায় সবগুলো উদ্যোগই সফল হয়েছে। যে দু-একটি বিষয় বাকি আছে, তাও বাস্তবায়ন হবে বলে আশা রাখি।

মেঘনা ট্রেনের বিষয়টি ফোরামের জন্য একটি উজ্জ্বল মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে তিনি জানান।

উলেস্নখ্য, চাঁদপুর জেলার নানা সমস্যা সমাধানে ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরাম কাজ করছে। বিশেষ করে অসহায় মানুষের চিকিৎসা সেবায় সহযোগিতা, ব্রিজ-কালভার্ট সংস্কারে সহায়তা, স্কুল নির্মাণে সহায়তা, বৃক্ষ রোপণ প্রভৃতি। ফোরামের পক্ষ থেকে চাঁদপুর সেতুর টোল প্রত্যাহারের জন্যও আবেদন করা হয়। এ বিষয়ে ফোরাম সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে