মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকরা নিরাপত্তাহীনতায় সংবাদ সম্মেলনে রিজভী
প্রকাশ | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকেরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে মন্তব্য করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সীমান্তে বাংলাদেশের ভেতরে নারী-পুরুষ কেউ নিরাপদ নন। জীবন যাচ্ছে মর্টারের শেলে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
সম্প্রতি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপির) সংঘর্ষ শুরু হয়। ইতিমধ্যে বিজিপিকে হটিয়ে একাধিক সীমান্তচৌকি আরাকান আর্মি দখলে নিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে গত সোমবার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামে দুজন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আরাকান আর্মির সঙ্গে
মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে টিকতে না পেরে বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকে আশ্রয় নেন সে দেশের ৩২৮ জন। এসব ব্যক্তি মিয়ানমারের বিজিপি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, শুল্ক কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সংস্থার সদস্য।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের এ পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের চারদিকে সীমান্ত এলাকায় এখন রক্তক্ষয়ী খেলা চলছে প্রতিবেশী দেশগুলোর ছোড়া অস্ত্রের আঘাতে। বাংলাদেশের মানুষের জীবন ও ভূমি এখন অরক্ষিত। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে দলে দলে লোক বাংলাদেশে ঢুকছে। বাংলাদেশ সরকার নীরব রয়েছে।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার শাসনামলে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা ছিল সুরক্ষিত এবং জনগণ ছিল নিরাপদ।
তিনি বলেন, ''বিএনপির কাছে অবৈধ ক্ষমতা নয়, জনগণের স্বার্থই বড়। এ কারণে বিএনপি 'তলেতলে' কিংবা প্রকাশ্যে- কোনোভাবেই দেশ ও জনগণের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে কারও সঙ্গে আপস করেনি। আমি আগেও বলেছিলাম, ৭ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন ছিল না।''
রিজভী আরও বলেন, দেশের ৯৫ শতাংশের বেশি মানুষ শেখ হাসিনার ব্যালট প্রত্যাখ্যান করে বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষের ৬৩টি রাজনৈতিক দলের 'লিফলেট' গ্রহণ করে ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জন করেছিলেন।