রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কলাপাড়ায় আ'লীগ নেতাকে হাতুড়ি ও স্ত্রীকে লাঠিপেটা

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
কলাপাড়ায় আ'লীগ নেতাকে হাতুড়ি ও স্ত্রীকে লাঠিপেটা

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনসার উদ্দিন মোলস্না এবং তার স্ত্রী খাদিজা বেগমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে লতাচাপলী ইউনিয়নের আলীপুর বন্দরের অগ্রণী ব্যাংকসংলগ্ন রাস্তায় দুর্বৃত্তরা হাতুড়িপেটা করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার স্ত্রী খাদিজা বেগমের চুল টেনে-হিঁচড়ে রাস্তার ওপর ফেলে বেধড়ক লাঠিপেটা করে। এ হামলায় দু'জনই মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, তারা স্বামী-স্ত্রীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুয়াকাটা হাসপাতালে নিয়ে যান। আনসার উদ্দিন মোলস্নার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মো. আনছার উদ্দিন মোলস্নার ভাষ্য, 'লতাচাপলী ইউনিয়নের গ্রামের বাড়ি থেকে আলীপুর বন্দরের বাসায় ফেরার পথে বাড়ির পাশেই তার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। সন্ত্রাসী চক্রটি আগে থেকেই আমাকে মারার জন্য অপেক্ষা করছিল। লতাচাপলী ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা নজরুল ফকিরের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। নজরুল ফকিরের সঙ্গে একই এলাকার আলম ফকির, সোহেল ফকির, সেলিম ফকির, শাহীন, সুমন, রাজুসহ আরও ১০ থেকে ১২ জন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী এই হামলায় জড়িত।'

কুয়াকাটা হাসপাতালের চিকিৎসক মুসাদ সায়েম পুনম বলেন, 'আনসার উদ্দিনের দুই পা থেঁতলে গেছে। তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। হামলায় তার শরীর ক্ষত হওয়ায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বুধবার রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।'

হামলার নিন্দা জানিয়ে চেয়ারম্যানের বড় ভাই ও কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল বারেক মোলস্না বলেন, 'সন্ত্রাসীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইয়ের ওপর হামলা চালিয়েছে। মূলত সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। স্থানীয় লোকজন দৌড়ে আসায় তাকে ফেলে রেখে সটকে পড়েছে তারা।'

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য নজরুল ফকিরের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি ধরেননি। এ বিষয়ে লতাচাপলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বিশ্বাস বলেন, 'এমন ঘটনায় আমরা মর্মাহত। জাতীয় সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী একের পর এক সহিংস ঘটনা ঘটেই চলছে। আমি এর আগেও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের এসব বিষয় জানিয়েছি। কোনো সমাধান পাইনি। একই দলের কর্মীদের এভাবে মারামারি-হানাহানির ঘটনা ঘটবে, এটা আমি কখনোই কামনা করি না। এ ঘটনায় আমি পুরোপুরি হতাশ।'

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, 'হামলার পর ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে