রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি আবাসিক ভবনের নবম তলা থেকে পড়ে এক কিশোরী গৃহকর্মীর মৃতু্য হয়েছে।
প্রীতি উড়ান নামে ১৫ বছর বয়সি কিশোরী ওই ভবনের বাসিন্দা ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। তার বাড়ি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মিত্তিঙ্গা গ্রামে, তার বাবার নাম লোকেশ উড়ান।
মঙ্গলবার সকাল ৮টায় খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। সে সময় স্থানীয়রা ওই বাড়ির ফটকে জড়ো হয়ে 'মেয়েটিকে হত্যা করা হয়েছে' অভিযোগ করে বিক্ষোভ শুরু করে।
পরে পুলিশ সৈয়দ আশফাকুল হক, তার স্ত্রী তানিয়া হকসহ ওই বাসা থেকে ছয়জনকে থানায় নিয়ে যায়। সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত তারা থানাতেই ছিলেন।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি মাহফুজুল হক ভূঁইয়া বলেন, 'প্রীতি নামে মেয়েটি নয়তলা থেকে পড়ে মারা গেছে। আশফাকুল হক ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক। আশফাকুল হক ও তার স্ত্রীসহ পরিবারের কয়েকজনকে থানায় আনা হয়েছে।'
ঘটনার বিষয়ে কথা বলতে আশফাকুল হককে কয়েক দফা ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। ডেইলি স্টারে তার সহকর্মীরাও এ বিষয়ে কথা বলতে চাননি।
ওই এলাকার এক খাবারের দোকানের বিক্রেতা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, শাহজাহান রোডে জেনিভা ক্যাম্প সংলগ্ন ওই ভবনের ওপর থেকে সকাল ৮টায় মেয়েটি পড়ে যায়।
'ওই বাসায় আগেও এ রকম ঘটনা ঘটছিল। এরপর স্থানীয় লোকজন 'মাইরা ফেলছে, বিচার চাই' স্স্নোগান দিয়ে বাড়ির ফটকে জড়ো হয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে, বাসার লোকজনকে আটক করে নিয়ে যায়।'
গত বছরের ৬ অগাস্টও একই ধরনের ঘটনা ঘটে আশফাকুল হকের বাসার। সেবার নয় বছরের এক শিশু গৃহকর্মী লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয়। ওই ঘটনায় নির্যাতনের অভিযোগ এনে আশফাকুল হক, তার স্ত্রী তানিয়া হক ও শিল্পী নামে আরেক নারীকে আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন শিশুটির মা।