প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও নাশকতার অভিযোগে রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন শুনানির জন্য আগামী ১৪ ফেব্রম্নয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এ দিন ধার্য করেন। এর আগে আজ তাদের জামিন বিষয়ে আংশিক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ বলেন, এর আগে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এ মামলায় তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে আমরা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করেছি। আদালত আংশিক শুনানি গ্রহণ করে আগামী ১৪ ফেব্রম্নয়ারি জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে দলটির নেতাকর্মীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষ পরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে বিকাল তিনটার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পন্ড হয়ে যায়। এই সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। আহত হন পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। এ ছাড়া কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হন।
এ ঘটনার পর গত ২৮ অক্টোবর মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর তাকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে গত বছরের ২ নভেম্বর রাত ১টায় গুলশানের একটি বাসা থেকে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করে ডিবি। পরদিন ৩ নভেম্বর সমাবেশ চলাকালে সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলায় তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।