পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সেবাগুলোর তথ্য প্রদানের পাশাপাশি পরিবেশ সংক্রান্ত যেকোনো অভিযোগ জানানোর জন্য জাতীয় তথ্য ও সেবা হেল্পলাইন '৩৩৩-৪' এর কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত স্মার্ট মন্ত্রণালয় বিনির্মাণ সংক্রান্ত সভায় এই প্রযুক্তিসেবার উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্?মেদ পলক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে একটি স্মার্ট মন্ত্রণালয়ে পরিণত করার জন্য এটুআই, আইসিটি বিভাগ ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পক্ষে মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং এটুআই-এর পক্ষে প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. মামুনুর রশীদ ভূঞা সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, এই সমঝোতা স্মারক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে নাগরিকদের অভিযোগ জানানো সুবিধা স্থাপনের পাশাপাশি সরকারি সেবা উন্নত করা, অভ্যন্তরীণ দক্ষতা বৃদ্ধি এবং নাগরিক সম্পৃক্ততা বাড়ানোর লক্ষ্যে ডিজিটাল উদ্যোগের পরিসরকে বিসৃত করবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্?মেদ পলক বলেন, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা হতে যাচ্ছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় হবে প্রথম স্মার্ট মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, এখন থেকে নাগরিকরা ৩৩৩ নম্বরে কল করে পরে ৪ চেপে পরিবেশ ছাড়পত্র, গবেষণাগার, বন সংরক্ষণ ইত্যাদি পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও এর অধীন অধিদপ্তরের তথ্যসেবা ও কর্মকর্তাদের তথ্য পাবেন। পাশাপাশি পানিদূষণ, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, জীববৈচিত্র্য বিনষ্ট এবং অবৈধভাবে বন/পাহাড় ধ্বংস ও গাছকাটা ইত্যাদি বিষয়ে অভিযোগ জানাতে পারবেন। পরে অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ড্যাশবোর্ডে প্রেরণ করা হবে। এরপর কর্মকর্তা অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং সুবিধাভোগীরা এসএমএসের মাধ্যমে আপডেট পাবেন অথবা ৩৩৩-তে কল করেও আপডেট জানতে পারবেন। সরকারি কাজে জনগণকে ডিজিটালি সম্পৃক্ত করে আগামী ৫ বছরে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাইলফলক স্থাপিত হবে।