শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

সীমান্তে মর্টার শেলে মানুষ মরলেও সরকারের প্রতিবাদ নেই :রিজভী

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
সীমান্তে মর্টার শেলে মানুষ মরলেও সরকারের প্রতিবাদ নেই :রিজভী

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, 'দেশের সার্বভৌমত্বকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মিয়ানমারের মর্টার শেল বাংলাদেশে এসে পড়ছে। বাংলাদেশের নাগরিক মারা যাচ্ছেন। কিন্তু সরকারপ্রধান বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আমরা কাউকে প্রতিবাদও করতে দেখিনি। কারণ, তারা তো মাথা আগেই বিক্রি করে দিয়েছে। মাথা বিক্রি করে তারা সেনাবাহিনী ও বিজিবিকে ধৈর্য ধরতে বলেছেন।'

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জিয়া পরিষদের উদ্যোগে শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, সরকার ক্ষমতা ছাড়ার ভয়ে আতঙ্কে আছে। এ কারণে বিএনপির শীর্ষ নেতারা কারাগারে। আর তিনি (প্রধানমন্ত্রী) তার সোনার হরিণ ধরে রাখতে চাইছেন। তিনি গণতন্ত্রকামী জনগণ, সেনাবাহিনী ও বিজিবিকে ধৈর্য ধরতে বলেছেন। অন্য দেশের ছোড়া মর্টার শেলে প্রাণ গেলেও প্রতিবাদ করতে পারেননি। কারণ, আপনি তো ডামি নির্বাচন করেছেন, জনগণের সঙ্গে তামাশা করেছেন।

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশের ভেতর হ পৃষ্ঠা ১৫ কলাম ১

অভ্যন্তরীণ একটি নিরাপত্তা বাহিনী তৈরি করেছেন, তার নাম ছাত্রলীগ। তাদের কোনো আইন নেই। শুধুমাত্র বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের মিছিল দেখলে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশনা আছে। বেআইনি অস্ত্রের লাইসেন্স তাদের দেওয়া হয়। যার ফল এখন সরকারসহ সাধারণ জনগণ টের পাচ্ছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ছাত্রলীগের নারী নির্যাতনকে আশকারা দিচ্ছে সরকার। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার পরও প্রধানমন্ত্রীর টনক নড়েনি। সিলেট এমসি কলেজে নারী নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের এখনো কোনো বিচার হয়নি। অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনে ভয় পান শেখ হাসিনা। ছাত্রলীগ নারী নির্যাতন করলে তিনি কোনো কথা বলেন না।

রিজভী বলেন, বিচার হয় শুধুমাত্র গণতন্ত্রের কথা বললে। আজ মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদসহ বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে বিনা অপরাধে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। এ দেশে সাধারণ মানুষের কারও কোনো নিরাপত্তা নেই। শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি মানুষের মধ্যে ক্ষোভের দাবানল তীব্রতর হচ্ছে, তাদের পতন অতি সন্নিকটে।

জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. আবদুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আব্দুলস্নাহিল মাসুদের পরিচালনায় শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জিয়া পরিষদের মহাসচিব ড. এমতাজ হোসেন, মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব মো. আবদুর রহিম, জাসাসের সাবেক নেতা সিরাজুল ইসলাম, ওলামা দলের সাবেক আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক প্রমুখ।

সরকার দেশের বিচারব্যবস্থাকে

কলঙ্কিত করেছে : সেলিমা রহমান

এদিকে, অবৈধ ডামি সরকার দেশের বিচারব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত 'নারী সমাজের ওপর অপমানের শেষ কোথায়?' শীর্ষক এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

সেলিমা রহমান বলেন, আজকের এই মানববন্ধন প্রতিবাদের নয়, এটা প্রতিরোধের মানববন্ধন। আজকের এই ডামি সরকারের সোনার ছেলেরা জাহাঙ্গীরনগরে এক নারীকে ধর্ষণ করেছে। আওয়ামী লীগ এই সোনার ছেলেদের হাতে অস্ত্র ও লাঠি তুলে দিয়েছে। যার ফলে এই সোনার ছেলেরা একপ্রকার সোনার সোহাগায় পরিণত হয়েছে। এ দেশে এই সোনার ছেলেদের বিরুদ্ধে কারও কাছে বিচার চাওয়া যাবে না। কারণ, এই অবৈধ ডামি সরকার দেশের বিচারব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করেছে।

তিনি বলেন, যারা জোর করে দখল করে, সেটাকেই বলে ধর্ষণ। আজকে সারাদেশ ধর্ষিত। আজকে সমগ্র বাংলাদেশে আমরা বিচার চাই না। কার কাছে বিচার চাইব ? যেখানে প্রক্টোর, প্রিন্সিপাল, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ, যারা দালালি করে চুপ করে বসে থাকে, তাদের কাছে কিসের বিচার? আন্দোলন করে এই সরকারকে বিতাড়িত করতে হবে। তাই এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে দেশের মানুষকে এক হয়ে রাজপথে নেমে আসতে হবে। এর মাধ্যমেই আমাদের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।

মানববন্ধনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল মিন্টু। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মানুষের সব অধিকার হরণ করেছে। ২০১৮ সালে এক নারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কথায় ভোট না দেওয়ায় তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এটাই মূলত আওয়ামী লীগের চরিত্র। তাদের মূল কাজ হচ্ছে, মানুষে অধিকার হরণ করা এবং দেশ থেকে রাজনীতিকে বিতাড়িত করা। পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করা। যা তারা ১৯৭৪ সালেও করেছিল, যার ফলে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে