বাংলাদেশ যেখানে সুবিধা বেশি পাবে, সেখান থেকে এয়ারক্রাফট কিনবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
বিমানমন্ত্রী বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে ৪০ মিনিট আলোচনা করেছেন। বাংলাদেশের পর্যটন ও বেসামরিক বিমানের উন্নয়নে আমরা যে একসঙ্গে কাজ করেছি এবং আগামীতেও কাজ করব, এ বিষয়ে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেছেন। আমি বলেছি, আগামীতে তারা আমাদের কীভাবে সহায়তা করতে পারে, সেটা যাতে তারা জানায়। তারা অবশ্যই চায়, বাংলাদেশের বিমানের সঙ্গে বোয়িং বিমান যুক্ত হোক। আমরা বলেছি, আমরা এটির মূল্যায়ন করছি, যেটা ভালো হবে, সেটা আমরা নেব।'
ফারুক খান বলেন, 'তাকে বলেছি যে, বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার অংশীদারত্ব রয়েছে, সেটা অতীতে হয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় হয়তো আমাদের মতের মিল হয়নি, কিন্তু তারপরেও আমাদের বন্ধুত্বের স্বার্থে আলোচনা করেছি ও সমস্যার সমাধান করেছি।'
বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী বলেন, 'তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি, সম্প্রতি আমেরিকা আমাদের জানিয়েছে, তারা ফের আমাদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করে যাবে। আমরা আশাবাদ প্রকাশ করেছি, আগামীতে সব বিষয়ে, বিশেষ করে পর্যটন ও বেসামরিক বিমান নিয়ে আমরা কাজ করবো। নিউইয়র্কে আমাদের যে স্স্নট রয়েছে, সেটা যাতে আমরা তাড়াতাড়ি পেতে পারি, সে বিষয়ে আলোচনা করেছি।'
নিউইয়র্কের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইটের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তিনি বলেছেন যে শিগগিরই তাদের ওখান থেকে একটি টিম আসবে, সেই টিম এসে এটি ফাইনাল করবে।
এই টিম কবে আসবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এই মুহূর্তে বেসামরিক বিমানে আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন সংস্থার (আইকাও) একটি প্রতিনিধি দল আছে, এই টিম যাওয়ার পরে আমরা একটি উপযুক্ত সময়ে আমেরিকার এফএ টিমকে আমন্ত্রণ জানাব। তখন তারা এসে ফাইনালটা দেখবে। আর এটা চলতি বছরের মধ্যেই হবে।'
নতুন কোনো বোয়িং কেনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না; জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এখানে তো কেনাবেচার জন্য বসিনি, আমরা বলেছি, আমরা নতুন এয়ারক্র্যাফট কিনবো, তবে যেখান থেকে বাংলাদেশ সুবিধা বেশি পাবে, সেখান থেকে কিনব।'
বোয়িং নেওয়ার বিষয়ে আপনাদের অঙ্গীকার আছে কি না; জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'কোনো বিষয়ে আমরা কারও সাথে অঙ্গীকারবদ্ধ না। বোয়িং কেনার প্রস্তাব তারা দিয়েছেন, সেটার মূল্যায়ন করে আমরা দেখব।'