এস আলমের বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত রুল খারিজ

প্রকাশ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
এস আলম গ্রম্নপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম) ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনের অনুমতি ছাড়া বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তরের অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধানে নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশ্নে হাইকোর্টের দেওয়া স্বতঃপ্রণোদিত (সুয়োমটো) রুল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ সোমবার এ আদেশ দেন। সংক্ষিপ্ত আদেশে বলা হয়, হাইকোর্ট বিভাগের ইসু্য করা সুয়োমটো রুল ডিসচার্জড (খারিজ) করা হলো। যাই হোক এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বাধা হবে না। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে এস আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনের করা আবেদন (লিভ টু আপিল) নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা বলছেন, বিএফআইইউ ও দুদক চাইলে এখন ওই অভিযোগ অনুসন্ধান করতে পারে। গত বছরের ৪ আগস্ট ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারে "এস আলম'স আলাদিন'স ল্যাম্প" (এস আলমের আলাদিনের চেরাগ) শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক। এরপর গত ৬ আগস্ট হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। অনুমতি ছাড়া বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তর নিয়ে এস আলম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। দুদক, বিএফআইইউ ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে এস আলম ও তার স্ত্রী গত ২১ আগস্ট লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন যা গত ২৩ আগস্ট আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন শুনানি নিয়ে চেম্বার আদালত বিষয়বস্তুর ওপর সব পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দেন। একই সঙ্গে লিভ টু আপিলটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ৮ জানুয়ারি শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি ওঠে। আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আজমালুল হোসেন কেসি ও আহসানুল করিম। দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। পত্রিকার খবর নজরে আনা আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক শুনানিতে অংশ নেন। পরে আবেদনকারীদের আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, 'সুয়োমটো রুল খারিজ হওয়ায় হাইকোর্টের অন্তর্র্বর্তীকালীন আদেশ থাকছে না। তবে দুদক ও বিএফআইইউ যদি মনে করে তাহলে আইন অনুসারে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালাতে বাধা নেই।' শুনানির বিষয়ে আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, 'হাইকোর্টের রুলে এস আলম ও তার স্ত্রীকে বিচার হওয়ার আগেই অর্থ আত্মসাৎকারী ও পাচারকারী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে এস আলম ও তার স্ত্রীর বক্তব্যও শোনা হয়নি। তাই রুল ভ্রান্ত ধারণাপ্রসূত ও খারিজযোগ্য, শুনানিতে বলেছি।' পরে আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক বলেন, 'হাইকোর্টের আদেশে এস আলম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ ছিল। এই আদেশের ফলে হাইকোর্টের এই নির্দেশ থাকছে না। তবে দুদক ও বিএফআইইউ নিজে চাইলে নিজ উদ্যোগে অনুসন্ধান করতে পারবে।'