১২ কেজির এলপিজির দাম বেড়ে ১,৪৭৪ টাকা
প্রকাশ | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
দেশে ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজির (তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস) ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৪১ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার ৪৭৪ টাকা করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকেই কার্যকর হয়েছে নতুন এ দাম। এর আগে জানুয়ারিতে ১২ কেজিতে এলপিজির দাম বাড়ানো হয়েছিল ২৯ টাকা। তখন দাম ছিল এক হাজার ৪৩৩ টাকা।
রোববার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এক সংবাদ সম্মেলনে দাম বাড়ানোর এ তথ্য জানায়। এ নিয়ে টাকা ৬ মাস বেড়েছে এলপিজির দাম। যদিও দেশের বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে এই দাম কার্যকর হয় না। দেখা গেছে নির্ধারিত দামের থেকে অন্তত ২শ টাকা বেশি ব্যয় হয় ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের জন্য।
এর আগে জানুয়ারিতে দেশে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৩৩ টাকা, এর আগে ডিসেম্বরে একই পরিমাণ সিলিন্ডার গ্যাসের দাম ছিল ১ হাজার ৪০৪ টাকা, গত বছরের নভেম্বরে ১ হাজার ৩৮১ টাকা, অক্টোবরে ১ হাজার ৩৬৩, সেপ্টেম্বরে ছিল ১ হাজার ২৮৪ টাকা। আগস্টে ছিল ১ হাজার ১৪০ টাকা। অর্থাৎ গত ছয় মাসের ব্যবধানে এলপিজির দাম সিলিন্ডার প্রতি (১২ কেজি) ২৯৩ টাকা বাড়িয়েছে বিইআরসি।
২০২১ সালের ১২ এপ্রিল পর্যন্ত কোম্পানিগুলোর এলপিজির দাম নির্ধারণ করত। তবে এলপিজির দাম আমদানির ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় পরে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আরামকো ঘোষিত মূল্যের ভিত্তিতে বিইআরসির দাম নির্ধারণ করবে বলে ঘোষণা দেয় সরকার।
সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী সৌদি আরবে দাম বাড়লে ভিত্তিমূল্য বাড়বে। ওই ঘোষণার পর থেকে প্রতি মাসেই এলপিজির দাম নির্ধারণ করছে বিইআরসি।
বিশ্ববাজারে এলপিজির দাম
প্রতিমাসেই দেশে বাজারে এলপিজির দাম বাড়লেও বিশ্ববাজারে কমছে। গত বছর অক্টোবর নভেম্বরে প্রতি টনে ৭০ থেকে ৮০ ডলার বাড়লেও পরে সে দামেই স্থিতিশীল রয়েছে। চলতি বছরে এর দাম আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। জানুয়ারিতেই আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজির কাঁচামাল প্রোপেন ও বিউটেনের দাম টনপ্রতি গড়ে ১০ ডলারের বেশি কমেছে। যেহেতু কাঁচামালের দাম কমেছে তাই ফেব্রম্নয়ারিতে পণ্য দুটির মূল্যহ্রাসের প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।
ডেরিভেটিভস ও কমোডিটি এক্সচেঞ্জ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান সিএমই গ্রম্নপের তথ্যানুসারে ফেব্রম্নয়ারিতে টনপ্রতি প্রোপেনের দাম ৫৮৫ ডলারে কেনাবেচা হচ্ছে। আর বিউটেনের দাম টনপ্রতি ৫৯৬ ডলারের কিছু বেশি।