নিউজপেপার আমদানি শুল্ক কমানোর প্রস্তাব নোয়াবের

প্রকাশ | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে সংবাদপত্র শিল্পেও। তাই এ শিল্পকে সহযোগিতা করতে নিউজপেপার আমদানির ওপর শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করেছে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। এ ছাড়া এ খাতকে সেবামূলক শিল্প হিসেবে বিবেচনা করে করপোরেট কর সর্বনিম্ন নির্ধারণ অথবা অবলোপন করার দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি। রোববার আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনার শুরু হয়। প্রাক-বাজেট বৈঠকের প্রথম দিনে নোয়াব প্রতিনিধি দল এসব প্রস্তাব তুলে ধরে। বিশ্বায়ন ও ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে সংবাদপত্র রুগ্ন শিল্পে পরিণত হয়েছে। শুল্ক, ভ্যাট, কর্পোরেট ট্যাক্স এই শিল্পের বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন বাস্তবতায় সংবাদপত্র শিল্পে শুল্ক ও করনীতি প্রয়োগের বিপুল সংস্কার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ। তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির বর্তমান অবস্থায়, বিশেষত ডলারের ক্রমবর্ধমান বিনিময় হার, এ শিল্পকে রুগ্ন করে ফেলেছে। কিছুদিন আগেও এক টন নিউজপ্রিন্টের মূল্য ছিল ৬০০ ডলারের নিচে। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০০ ডলারের ওপর। এর অন্যতম প্রধান কারণ টাকা ডলারের বিরূপ বিনিময় হার। এ কে আজাদ বলেন, সংবাদপত্রের আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ হলেও তার সঙ্গে ১৫ শতাংশ ভ্যাট, অগ্রিম আয়কর, পরিবহণ বীমা ইত্যাদিসহ ব্যয় প্রায় ৩০ শতাংশে দাঁড়ায়। এ সময় নিউজপ্রিন্ট আমদানিতে শুল্ক ২ শতাংশ করা, ভ্যাট ১৫ শতাংশের স্থলে ৫ শতাংশ করা, সংবাদপত্র শিল্পকে সেবামূলক শিল্প হিসেবে বিবেচনা করে করপোরেট ট্যাক্স সর্বনিম্নে নির্ধারণ অথবা অবলোপন করা প্রস্তাব করেন। এ সময় এ কে আজাদ আরও বলেন, বিগত কয়েক বছরে সংবাদপত্র শিল্প বিকাশে সরকার আমাদের কোনো প্রস্তাবনা আমলে নেয়নি। এ বছরের বাজেটে আমাদের প্রস্তাবগুলো বিবেচনায় নেওয়া হোক। ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, ট্যাক্স দেওয়াটা সার্বজনীন ব্যাপার, গেস্নাবাল প্র?্যাকটিস। আপনারা যদি অন্য দেশে দেখেন যে অন্যান্য দেশে খবরের কাগজ কিভাবে চিহ্নিত হয়, সেখান থেকে কিভাবে রাজস্ব নেওয়া হয়, আমার জানা মতে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় সংবাদপত্রকে অন্যভাবে ট্রিট করা হয়। তাদের কর আরও কম হয়। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম নোয়াবের প্রস্তাব বিবেচনার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, কোনো সুবিধা দিলেও সেটার অপব্যবহার করার জন্য আরেকটা দল রেডি হয়। নিউজপ্রিন্টর জন্য যদি কাগজের মূল্য বা আমদানি শুল্ক কমানো হয় সব কাগজ নিউজ প্রিন্টের আড়ালে চলে আসবে। এটা অতীতেও হয়েছে। কী পরিমাণ কাগজ নিউজপ্রিন্টের জন্য আসছে এটা বের করা সম্ভব নয়। এজন্য দেখে-শুনে আমরা কাজ করতে চাই। রাজস্ব বাড়ানোয় গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ট্যাক্স জিডিপি ও ট্যাক্স রেট বাড়াতে সচেতনতামূলক প্রচার করছে গণমাধ্যমগুলো। গণমাধ্যম আরও ভূমিকা রাখবে। এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, নোয়াবের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়নি বলে অনেকে বলেছেন। তাই এবার নোয়াবের দেওয়া তিনটি প্রস্তাব গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে এনবিআর।