সরকার গণতন্ত্রের সবকিছু নস্যাৎ করে দিয়েছে :মান্না

প্রকাশ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
আওয়ামী লীগ এখন নিজেরাই বুঝতে পারছে না তারা কতদিন ক্ষমতায় থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মান্না বলেন, আওয়ামী লীগের দিন বড় খারাপ। আওয়ামী লীগ এখন নিজেরাই বুঝতে পারছে না তারা কয়দিন ক্ষমতায় থাকবে। এর কারণ হলো, তিন মাস পরে পেঁয়াজ, ডালগুলো কেনার যদি টাকা না থাকে, চাকরিজীবীদের বেতন দেওয়ার মতো টাকা যদি না থাকে তাহলে এ সরকার থাকবে কেমন করে? এ সরকার যতদিন যাবে না ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চলতে থাকবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এই সংসদের কফিনে পেরেক মেরে দিয়েছেন। জনগণের গণতন্ত্রের সব কিছু নস্যাৎ করে দিয়েছে। অপরদিকে বেগম জিয়া মানেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে একটা স্বপ্ন। এত অসুস্থতা নিয়েও তিনি (খালেদা জিয়া) লড়াই করে যাচ্ছেন। সরকার তাকেও ছাড়ছে না। ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, মির্জা ফখরুলসহ অনেক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত পরশুদিন শুনেছি সরকার নাকি তাদেরকে ছেড়ে দেবে কিন্তু বৃহস্পতিবার মির্জা ফখরুলের জামিন হয়নি। ২৮ অক্টোবরের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনের গেটে মির্জা ফখরুলের কোনো ছবি আছে? আমীর খসরু মাহমুদের কোনো ছবি আছে? সেখানে তো বিএনপির কোনো লোক যায়নি। বিএনপির লোক মিটিং করেছে সেই ফকিরাপুলে আর বিচারপতির বাসভবন হলো কাকরাইল মোড়ে। মান্না বলেন, 'জাতিসংঘ তখন বিবৃতি দিয়েছে, ২৮ অক্টোবরের এই সন্ত্রাস সরকারি দল করেছে। সরকার তখন তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেছে আপনারা এটা কীভাবে জানলেন? তখন জাতিসংঘ বলেছে, আমরা স্যাটেলাইট ক্যামেরার মাধ্যমে সবকিছু দেখেছি।' তিনি আরও বলেন, একটা লোকও আওয়ামী লীগকে দেখতে পারে না। ৭ তারিখের নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের নেতা থেকে শুরু করে মন্ত্রী পর্যন্ত যারা আছে তাদের সম্মান বলতে কিছুই নেই। এরা সবাই 'ফোর টুয়েন্টি', প্রতারক। আওয়ামী লীগের লোকজন আগের মতো গরম গরম ভাব দেখাচ্ছে না। তাদের লোক এখন শান্তিতে নাই। তাদের মুখ শুকিয়ে গেছে। বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়ের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি'র নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুলস্নাহ, বিলকিস ইসলাম, তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষকদলের যুগ্ম সম্পাদক শাহ আব্দুলস্নাহ আল বাকি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।