প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুর মামলায় ফখরুলের জামিন মেলেনি

প্রকাশ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় রমনা মডেল থানায় করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এর আগে বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালতে এ জামিনের আবেদন করেন মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। এ মামলার নথি মহানগরে সিআরমিস শুনানির জন্য রয়েছে। তাই বিচারক মামলার নথিপ্রাপ্তি সাপেক্ষে এ বিষয় শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার মামলার নথি মহানগর থেকে আসলে শুনানি হয়। ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ ঘিরে হামলা, ভাঙচুর, সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। এর মধ্যে পল্টন থানায় আটটি ও রমনা মডেল থানায় তিনটি। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। তবে এই ১১ মামলার মধ্যে ১০টিতেই তার জামিন মঞ্জুর করেন বিচারিক আদালত। শুধু প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা মামলায় জামিন আবেদন খারিজ করেন হাইকোর্ট। গত ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় ওইদিনই গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষ জামিন চেয়ে আবেদন করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত ফখরুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ মামলায় গত ২২ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। এরপর জামিন চেয়ে গত ৩ ডিসেম্বর হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। আবেদনের শুনানি নিয়ে ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট জামিন প্রশ্নে রুল দেন। এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ জানুয়ারি হাইকোর্ট জামিন প্রশ্নে রুল খারিজ করলে জামিনের পথ রুদ্ধ হয়ে যায় বিএনপির এ নেতার। রুল খারিজের রায়ে ওইদিন আদালত বলেন, অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে এ মুহূর্তে (ফখরুলকে) জামিন দেওয়া হলে তদন্ত বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যে কারণে এ মুহূর্তে তাকে জামিন দেওয়া সমীচীন হবে না। তাই রুল খারিজ করা হলো। এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর পল্টন মডেল থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর জামিন নামঞ্জুর করে ফখরুলকে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে গাছের ডাল ভেঙে ও হাতের লাঠি দিয়ে নামফলক, গেটে হামলা চালানো হয়। অভিযুক্তরা ভেতরে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ ঘটনায় মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির ৫৯ নেতার বিরুদ্ধে রমনা থানায় একটি মামলা করা হয়। ফখরুল-খসরু ছাড়াও এ মামলার উলেস্নখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউলস্না বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবদিন ফারুক, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্যসচিব আমিনুল হক।