শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

৬৪ জেলায় 'জাতীয় পিঠা উৎসব' শুরু

যাযাদি ডেস্ক
  ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বুধবার জাতীয় পিঠা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা -যাযাদি

বাঙালি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ পিঠাকে জাতীয় পর্যায়ে আরও প্রসারিত ও জনপ্রিয় করতে দেশের ৬৪ জেলায় ৩ দিনব্যাপী জাতীয় পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। বুধবার বিকালে একযোগে এ উৎসব শুরু হয়েছে, যা চলবে আগামীকাল ২ ফেব্রম্নয়ারি শুক্রবার পর্যন্ত। তবে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এ উৎসব চলবে ১০ ফেব্রম্নয়ারি শনিবার পর্যন্ত।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব

\হমো. মাহবুব হোসেন। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ এবং মঞ্চসারথি আতাউর রহমান। প্রবন্ধ পাঠ করেন লেখক ও গবেষক বাশার খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির সচিব (উপসচিব) সালাহউদ্দিন আহাম্মদ।

'মাছে ভাতে বাঙালি, ঐতিহ্যমন্ডিত পিঠাপুলি, রন্ধন আর পিঠার বাহারে শিল্পী আছে ঘরে ঘরে'-এ প্রতিপাদ্যে এবারের জাতীয় পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পিঠা শিল্পীদের উৎসাহ দিতে এবার উৎসবে খানিকটা ভিন্নতা যোগ করা হয়েছে। ঢাকার এ উৎসবে ৫০টির বেশি স্টল অংশ নিচ্ছে। প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সনদ প্রদান করা হবে।

লক্ষ্ণীপুর প্রতিনিধি জানান, ৩ দিনব্যাপী জাতীয় পিঠা উৎসব শুরু হয়েছে। জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে কালেক্টরেট ভবন প্রাঙ্গণে বুধবার সন্ধ্যায় রঙিন বেলুন ও উৎসবের ফেস্টুন উড়িয়ে এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মেহের নিগারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ, সিভিল সার্জন আহমেদ কবির, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. জাকির হোসেন, লক্ষ্ণীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মাহবুবুল করিম, প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর মাইন উদ্দিন পাঠান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক সাজিয়া পারভীন প্রমুখ।

সাংস্কৃতিককর্মী রাফি নাহিদের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা কালচারাল অফিসার মো. মনিরুজ্জামান মনির। এসময় বিভিন্ন স্টলে নিজ হাতে বানানো অর্ধশতাধিক পিঠার সাজানো পসরার সঙ্গে পরিচিত হয়ে এর স্বাদ গ্রহণ করেন অতিথিরা। পরে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

পিঠা উৎসবে ডাল পাকন, শুকনা পিঠা, লতা পিঠা, শামুক পিঠা, সাকুর পিঠা, পদ্মার ইলিশ পিঠা, পাটি সাপটা, পান্তুয়া, জেলি কেক, বরফি, দুধ চিতল, ভাপা পিঠা, নকশি পিঠা, ঝুনঝুনি পিঠা, মুগ পাকন, ক্ষীর পাটি সাপটা, হৃদয় হরণ ও নারিকেল বেলি পিঠাসহ দুই শতাধিক পিঠা দেখা গেছে। একেকটির স্বাদ একেক রকম। একেকটি দোকানে ৫০ ধরনের পিঠা থাকলেও সবগুলোর নামও অজানা অনেকের কাছেই।

পিঠা উৎসব দেখতে আসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণত পৌষ মাসে পিঠা উৎসব হয়ে থাকে। তবে শীত মানেই বাড়িতে বাড়িতে পিঠা উৎসব। যদিও এখন আর গ্রাম ছাড়া শহরে পিঠা দেখা যায় না। খাওয়া তো অনেক দূরে, অনেক পিঠার নামও এখন মনে পড়ে না। এখন শহরের মানুষের একমাত্র ভরসা রাস্তার পাশে বানানো চিতই আর ভাপা পিঠা। মফস্বল শহরেও একই অবস্থা।

সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত পিঠা উৎসব প্রশংসনীয়। কুয়াশা ঘেরা বিকালে পিঠা উৎসবটি আনন্দদায়ক ছিল বলে জানান স্থানীয়রা। শেষে উৎসবস্থলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে