ডিএমপির ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

পুলিশকে আরও জনবান্ধব করার অঙ্গীকার

প্রকাশ | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
'সেবা ও সদাচার, ডিএমপি'র অঙ্গীকার' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঢাকা মহানগর পুলিশের ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হবে আজ। ছিনতাই কমাতে গঠন করা হয়েছে 'ছিনতাই প্রতিরোধ টাস্কফোর্স'। পুলিশকে আরও জনবান্ধব করার অঙ্গীকার করেছেন ডিএমপি কমিশনার অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক হাবিবুর রহমান। দিবসটিকে উপভোগ্য করতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চকোলেট বিতরণ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা মহানগর পুলিশের পরিসংখ্যান মোতাবেক, গত বছর ডিএমপির বিভিন্ন থানায় প্রায় ২৬ হাজার মামলা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে 'ছিনতাই প্রতিরোধ টাস্কফোর্স'। নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী হেল্পডেস্ক থেকে ৪০ হাজারের বেশি জনকে সেবা দেওয়া হয়েছে। গত বছর আদালতের সহায়তায় সাড়ে ১৫ হাজারের বেশি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। এসব মামলা সাজা হয়েছে প্রায় ৫ হাজার জনের। মাত্র তিন দিনের মধ্যে দেওয়া হচ্ছে পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট। প্রবাসী লিগ্যাল সার্ভিস সেলে জমা পড়া ১৪৫টির মধ্যে ১১৪টি অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়েছে। ৩১টির তদন্ত চলছে। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির জনসভায় নিহত কনস্টেবল আমিরুল ইসলামসহ অধিকাংশ পুলিশ সদস্যের পেনশনের টাকা দেওয়া হয়েছে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে। এজন্য স্থাপন করা হয়েছে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেল। এ ছাড়া ডিবি ও সিটিটিসি তরফ থেকে অপরাধ ও জঙ্গিবাদ দমনে এবং গ্রেপ্তারে উলেস্নখযোগ্য সাফল্য দেখিয়েছে। প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে মহান মুক্তিযুদ্ধে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বীর পুলিশ সদস্যরা প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। দেশপ্রেমিক বাঙালি এবং অকুতোভয় বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘ নয় মাস সংগ্রামের মাধ্যমে রচিত হয় স্বাধীনতা অর্জন। ১৯৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পুলিশ সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে বলেন, 'স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে রাজারবাগের এবং পুলিশের ইতিহাস স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।' জাতির পিতা স্বাধীন বাংলাদেশের পুলিশকে জনগণের পুলিশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে গেছেন। তিনিই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের স্বপ্নদ্রষ্টা। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রতিষ্ঠার প্রারম্ভিক পদক্ষেপ এবং কার্যক্রম গৃহীত হয়। উলেস্নখ্য, ১৯৭৬ সালের ১ ফেব্রম্নয়ারি ৬ হাজার পুলিশ সদস্য এবং ১২টি থানা নিয়ে যাত্রা শুরু করে ডিএমপি। বর্তমানে ঢাকায় সোয়া ২ কোটি মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে ডিএমপির ৫০টি থানা। ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৬ জন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি), ১২ জন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি), ৫৭ জন উপ-পুলিশ কমিশনারসহ (এসপি) ৩৪ হাজার অফিসার ও ফোর্স কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প ২০৪১ অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে ডিএমপি কাজ করছে। ডিএমপির পুলিশের সেবা সহজ করার পাশাপাশি দ্রম্নত ও স্মার্ট পুলিশিং সেবা প্রদানের চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় মেসেজ টু কমিশনারের মাধ্যমে মানুষকে নাগরিক সেবা, পরামর্শ ও অপরাধ বিষয়ক তথ্য প্রদান করতে পারছেন। প্রেরিত তথ্য অনুযায়ী পুলিশ কাজও করছে। চব্বিশ ঘণ্টা অভিযোগ ও তথ্য নেওয়ার জন্য খোলা রাখা হয়েছে ০১৩২০-১০১০১০ ও ০১৩২০-২০২০২০ নম্বর দুটি।