শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কারিগরদের ইঞ্জিন, বডি এবং অটো-ইলেকট্র্রিক ও এসি সিস্টেম প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন

  ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
কারিগরদের ইঞ্জিন, বডি এবং অটো-ইলেকট্র্রিক ও এসি সিস্টেম প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন (বিআরটিসি) প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, তেজগাঁওয়ে মঙ্গলবার কর্পোরেশনে কর্মরত কারিগরদের মাসব্যাপী ইঞ্জিন, বডি এবং অটো-ইলেকট্রিক ও এসি সিস্টেম কোর্সের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মো. তাজুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, বিআরটিসি। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিআরটিসি'র পরিচালকরাসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

স্বাগত বক্তব্যে কোর্স পরিচালক ফাতেমা বেগম (জিএম, আইসিডবিস্নউএস ও প্রশিক্ষণ) বলেন, চেয়ারম্যান মহোদয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও দূরদর্শী চিন্তার ফসল আমাদের এই স্মার্ট বিআরটিসি। তার দক্ষ নেতৃত্বে বিআরটিসি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বিআরটিসি'কে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন ডিপোতে কর্মরত মোট ৩০ জন কারিগরদের কর্ম দক্ষ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই মাসব্যাপী প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। এই প্রশিক্ষণ কারিগরদের মধ্যে কর্মদক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করবে।

প্রশিক্ষণার্থী মাহবুবুর রহমান, কারিগর-সি বলেন, চেয়ারম্যান স্যারের জন্যই আমরা বিআরটিসি'তে ভালো একটি পরিবেশ পেয়েছি। অন্য একজন প্রশিক্ষণার্থী বলেন, একটা সময় বিআরটিসি'র পরিবেশ খুবই খারাপ ছিল। যায় গাড়ি আসে নাই, আসে গাড়ি যায় নাই- এরকম ছিল বিআরটিসি'র অবস্থা। যাত্রীরা টিকিট কেটে বসে থাকত। সেই বিআরটিসি বর্তমানে স্বর্ণযুগ পার করছে। প্রশিক্ষণার্থী আসাদুল হক বলেন, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা দক্ষ হবো এবং ডিপোতে গিয়ে তার বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে পারব।

পরিচালক (কারিগরি) কর্নেল মোহাম্মদ মোবারক হোসেন মজুমদার, পিএসসি বলেন, এই বদলে যাওয়া বিআরটিসি'তে যোগদান করে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। বিআরটিসি'র মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে কারিগর ও অপারেটর (চালক)। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীদের মনোবল বৃদ্ধি পাবে। কর্মচারীদের দক্ষতা, যোগ্যতা ও নৈপুণ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে দক্ষতার সাথে কার্য সম্পাদনের জন্য প্রশিক্ষণের গুরুত্ব অপরিসীম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান বলেন, প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে বিভিন্ন কাজ সঠিকভাবে সম্পাদন বিষয়ে শিক্ষণ দেওয়াই হলো প্রশিক্ষণ। এর মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কার্য সম্পাদন, যোগ্যতা, কর্মদক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা করা হয়। প্রশিক্ষণ হলো কর্মচারীদের সাফল্যের চাবিকাঠি। যার মাধ্যমে কর্মী কার্য সম্পাদন বিষয়ে বাস্তব জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সম্পদের সর্বোচ্চ এবং কাম্য সদ্ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে