বিশ্ব ইজতেমা :পুলিশের একগুচ্ছ নির্দেশনা
প্রকাশ | ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান করা, মূল সড়কের কাছে তাঁবু না খাটানো এবং কোনো ধরনের গুজবে কান না দেওয়াসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীদের একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এসব নির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি বিশ্ব ইজতেমা নিরাপদ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
টঙ্গীর তুরাগ তীরে তাবলিগ জামাতের এ বার্ষিক সম্মিলন হবে আগেরবারের মতোই দুই পর্বে। ২, ৩ ও ৪ ফেব্রম্নয়ারি ইজতেমার প্রথম পর্ব এবং চার দিন বিরতি দিয়ে ৯, ১০ ও ১১ ফেব্রম্নয়ারি দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা হবে।
ইজতেমা উপলক্ষে ঢাকা-টঙ্গী-ঢাকা এবং টঙ্গী থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াতের জন্য ১১ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালাবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
* ইজতেমায় নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার পাশাপশি প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের সহযোগিতা নেওয়া।
* নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান করা এবং অপরিচিত ও সন্দেহভাজন ব্যক্তি, কোনো পোটলা, ব্যাগ বা সন্দেহজনক বস্তুর উপস্থিতি দেখামাত্র তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবহিত করা।
* টাকা-মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে একাকী বা বিক্ষিপ্তভাবে ঘোরাফেরা না করে সবসময় নিজ হেফাজতে রাখা।
* টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী চুরি বা হারিয়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবহিত করা।
* হকার ও ভ্রাম্যমাণ ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে খাবার বা পানীয় গ্রহণে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির কবলে পড়ার ঝুঁকি থাকে ফলে তা এড়িয়ে চলা।
* নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন চলাচলের সুবিধার্থে ইজতেমা চলাকালে প্রধান সড়ক ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় তাঁবু না খাটানো কিংবা অন্য কোনোভাবে সড়ক ও পার্শ্ববর্তী এলাকা ব্যবহার না করা।
* অসুস্থ হলে ইজতেমার জন্য নির্ধারিত অস্থায়ী হাসপাতাল ও নিকটবর্তী হাসপাতাল, স্বাস্থ্যসেবা কর্মী বা প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা নেওয়া।
* গুজব শুনলে বা কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে ধৈর্য ধরে সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা করা।
* ট্রেনে নাশকতা সম্পর্কে তথ্য জানতে পারলে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটবর্তী থানা/আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবহিত করা।
* আগুন থেকে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সতর্ক থাকা। খিত্তা এলাকায় বা নিজেদের অবস্থানস্থলে ধূমপান না করা।
* খিত্তায় সবসময় পানি মজুত রাখা।
* ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলাচল নির্বিঘ্ন রাখার উদ্দেশ্যে ঢাকা মহানগরীর প্রগতি সরণি থেকে টঙ্গী ফ্লাইওভার পর্যন্ত, গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী ফ্লাইওভার থেকে চৌরাস্তা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রধান সড়কের ৫০ গজের মধ্যে মাইক না লাগানো।
* জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে ট্রেনে কিংবা অন্য কোনো যানবাহনে চলাচল না করা।
* জরুরি প্রয়োজনে ইজতেমাস্থলের নিকটস্থ পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করা।
যোগাযোগের জন্য বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশের ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে।
উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তরা): ০১৩২০-০৪১৭৪০, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এয়ারপোর্ট): ০১৩২০-০৪১৭৪১, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণখান): ০১৩২০-০৪১৭৪২, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তরা): ০১৩২০-০৪১৭৪৩, সহকারী পুলিশ কমিশনার (উত্তরা): ০১৩২০-০৪১৭৫৪, সহকারী পুলিশ কমিশনার (এয়ারপোর্ট): ০১৩২০-০৪১৭৫৭, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তরা পশ্চিম জোন): ০১৩২০-০৪৩৯৫৫, অফিসার ইনচার্জ, উত্তরা পূর্ব থানা: ০১৩২০-০৪১৭৮৯, অফিসার ইনচার্জ, উত্তরা, পশ্চিম থানা: ০১৩২০-০৪১৮১৭, অফিসার ইনচার্জ- তুরাগ থানা: ০১৩২০-০৪১৮৪৫, ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম: ০১৭১১-০০০৯৯০।
গাজীপুর মহানগর পুলিশ: উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ): ০১৩২০-০৭০৩৩০, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ): ০১৩২০-০৭০৬৪১, সহকারী পুলিশ কমিশনার (টঙ্গী জোন): ০১৩২০-০৭০৬৫৮, অফিসার ইনচার্জ, টঙ্গী পশ্চিম থানা: ০১৩২০-০৭০৭৫১, ডিউটি অফিসার, টঙ্গী পশ্চিম থানা: ০১৩২০-০৭০৭৫৯, অফিসার ইনচার্জ, টঙ্গী পূর্ব থানা: ০১৩২০-০৭০৭২২, ডিউটি অফিসার, টঙ্গী পূর্ব থানা: ০১৩২০-০৭০৭৩০, ডিউটি অফিসার, টঙ্গী পূর্ব থানা: ০১৩২০-০৭০৭৩০।
ইজতেমা কন্ট্রোল রুম (হটলাইন): ০১৩২০-০৭২৯৯৯, কন্ট্রোল রুম, জিএমপি: ০১৩২০-০৭২৯৯৮, ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম: ০১৩২০-০৭১২৯৮।
র্
যাব:র্ যাব-১ কন্ট্রোল রুম: ০১৭৭৭৭১০১৯৯,র্ যাব হেডকোয়ার্টার্স কন্ট্রোল রুম: ০১৭৭৭৭২০০২৯।
এছাড়া প্রয়োজেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করার অনুরোধ করেছে পুলিশ।