বিপিএলে প্রথম জয়ের খোঁজে সোমবার নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে মাঠে নেমেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। তবে ঘরের মাঠে ফের হারের তেতো স্বাদ পেয়েছে তারা। টুর্নামেন্টে উড়তে থাকা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে ৮ উইকেটে হেরেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। সিলেট
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৩৭ রান সংগ্রহ করে সিলেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট ও ১৪ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে গুভাগত হোমের দল। ঘরের মাঠেও ভাগ্য বদলায়নি মাশরাফিদের সিলেটের।
এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের চারটিতে জিতে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠল চট্টগ্রাম। আর তাদের চেয়ে দুই ম্যাচ কম খেলে টানা তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুইয়ে আছে খুলনা টাইগার্স। সিলেটের পরবর্তী ম্যাচ ০২ ফেব্রম্নয়ারি ঢাকার বিপক্ষে। একই দিন সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম লড়বে কুমিলস্নার বিপক্ষে। দুটি ম্যাচই হবে সিলেটে।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু পায় চট্টগ্রাম। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন তানজিদ হাসান তামিম ও আভিস্কা ফার্নান্দো। ইনিংসের শুরু থেকে দেখেশুনে খেলতে থাকেন এ দুই ব্যাটার। তবে ম্যাচের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে ফার্নান্দোর উইকেট শিকার করেন তানজিম হাসান সাকিব। সাজঘরে ফেরার আগে ১৭ করেন এ শ্রীলংকান ব্যাটার। পরে ক্রিজে আসেন টম ব্রম্নস। তাকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন তামিম। সেই সঙ্গে আসরে নিজের প্রথম ফিফটিও তুলে নেন তিনি। তবে অর্ধশতকের ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হয়েছেন তামিম। হ্যারি টেক্টরের ঘূর্ণিতে কাটা পড়েন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৫০ করেন এ বাঁ-হাতি। এরপর বাইশ গজে আসেন শাহাদত হোসেন দিপু। তাকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন ব্যাটার টম ব্রম্নস। একই সঙ্গে বিপিএল অভিষেকেই গুরুত্বপূর্ণ ফিফটি করেন এ কিউই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৫১ রানে ব্রম্নস ও ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন দিপু। সিলেটের হয়ে একটি করে উইকেট শিকার করেন সাকিব ও টেক্টর।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফি। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন মোহাম্মদ মিথুন ও নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে ভালো শুরুর আগেই এ জুটিতে আঘাত হানেন বিলাল খান। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে মিথুনকে (১) বোল্ড এবং ওভারের শেষ বলে শান্তকে (৫) লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলেন বিলাল। শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে স্নায়ুচাপে পড়ে দলটি। তবে জাকির হোসেন ও হ্যারি টেক্টর জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় মাশরাফির দল। নিহাদের ঘূর্ণিতে উড়তে থাকা জাকিরের (৩১) বিদায়ে ভেঙে যায় তাদের ৫৭ রানের জুটি। এরপর রায়ান বার্লের সঙ্গে জুটি গড়েন টেক্টর। তাদের দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৫২ রান। ফিফটির পথে থাকা টেক্টরকে থামিয়ে এ জুটি ভাঙেন সেই বিলালই। আউট হওয়ার আগে ৪৫ করেন এ আইরিশ ব্যাটার।
অন্যপ্রান্তে ব্যাট হাতে চট্টগ্রাম বোলারদের বিপক্ষে লড়াই করতে থাকেন রায়ান। শেষ পর্যন্ত ২৯ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তাকে সঙ্গ দেওয়া আরিফুল হক করেন ১২ বলে ১৭। তিনিও অপরাজিত ছিলেন। এতে সিলেটের ইনিংস থামে ১৩৭ রানে। চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন বিলাল খান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সিলেট স্ট্রাইকার্স: ২০ ওভারে ১৩৭/৪ (শান্ত ৫, মিঠুন ১, টেক্টর ৪৫, জাকির ৩১, বার্ল ৩৪*, আরিফুল ১৭*; আল আমিন ০/২১, বিলাল ৩/২৪, শহিদুল ০/২৯, নিহাদ ১/২৭, শাহাদাত ০/১৯, সৈকত ০/১৭)।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৭.৪ ওভারে ১৩৮/২ (তানজিদ ৫০, আভিশকা ১৭, ব্রম্নস ৫১*, শাহাদাত ১৩*; আরিফুল ০/১৬, টেক্টর ১/২১, রেজাউর ০/২১, তানজিম ১/১৯, হেমান্থা ০/২১, মাশরাফি ০/১৪, সামিত ০/২২)।
ফল: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: বিলাল খান।