সীমান্তে বিজিবি সদস্য হত্যায় জাতিসংঘের তদন্ত দাবি বিএনপির
স্থায়ী কমিটির বৈঠক
প্রকাশ | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
যশোরের সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বিজিবি সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনা জাতিসংঘের মাধ্যমে তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বিষয়বস্তু তুলে ধরে এ দাবি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সারা পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সবচেয়ে সহিংস ও রক্তস্নাত। বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশী নাগরিকদেরকে হত্যার ঘটনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ৭ বছরে ২০১ জন বাংলাদেশী নাগরিক বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত হয়েছে। গত ২১ জানুয়ারি সিপাহী মোহাম্মদ রইসুদ্দিনকে গুলি করে হত্যার পর বিএসএফ-এর পক্ষ থেকে যা বলা হয়েছে তা অগ্রহণযোগ্য। বিএসএফ-এর বয়ান শুধু বানোয়াটই নয়, ভারতীয় নীতি নির্ধারকদের 'বিগ ব্রাদার' সুলভ গরিমা থেকে উৎসাহিত হয়ে বিএসএফ তাদের হত্যাকান্ডের পক্ষে সাফাই গাইছে। একজন বিজিবি সদস্য কখনোই লুঙ্গী ও টিশার্ট পরে পাচারকারী দলের সঙ্গে থাকতে পারেন না। বরাবরই বিএসএফ-এর কৃত অপরাধকর্ম এবং বয়ানের মধ্যে দুস্তর ব্যবধান থাকে। তাদের আচরণে মনে হয়, তারা আদিম ও মধ্যযুগ পেরোতে পারেনি। মোহাম্মদ রইসুদ্দিনকে হত্যা করার পর তাদের মনগড়া বয়ানকে বাংলাদেশের মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে।
বিএনপি বলেছে, 'ভারতের উচ্চাকাঙ্ক্ষী নীতির কারণেই সীমান্তে রক্তপাত থামছে না। বিএসএফ বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকাকে রক্তক্ষয়ী খেলায় পরিণত করেছে। বাংলাদেশের মানুষকে নতজানু রাখার এটি একটি আধিপত্যবাদী বার্তা। এতদিন ভারতীয় সীমান্তরক্ষীবাহিনী বিএসএফের হাতে সাধারণ বাংলাদেশী নিহত হয়েছে। আর এখন সীমান্তে বিজিবিরও নিরাপত্তা নেই। অন্য দেশের সীমান্তরক্ষীবাহিনীর হাতে আরেকটা স্বাধীন দেশের সীমান্তরক্ষীবাহিনী হত্যা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়, বরং এটির সঙ্গে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন জড়িত।'
বিএনপির নীতিনির্ধারক নেতারা বলছেন, ফেলানীসহ সব হত্যাকান্ডে আন্তর্জাতিক মহল এমনকি ভারতের বেশকিছু মানবাধিকার সংগঠন প্রতিবাদ-উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করলেও ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এর কোনো বিচার বা প্রতিকার করেনি। বাংলাদেশের মানুষের মনে এখনো ক্ষোভের আগুন জ্বলছে।