রাজধানীতে সহকর্মীর
ঘুষিতে পোশাককর্মী
নিহত
ম যাযাদি ডেস্ক
রাজধানীর দক্ষিণখানের বটতলা এলাকায় পোশাককর্মী মাহিনের ঘুষিতে আরেক পোশাককর্মী সজীব নিহত হয়েছেন। শনিবার সকাল সোয়া ৯টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলা ১১টায় মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাই মো. ছোলেমান জানান, 'আমার ভাই সজীব এসএ ফ্যাশন গার্মেন্টে কাজ করত। তার সহকর্মী মাহিনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ভাইকে কিল-ঘুষি লাথি মারলে গুরুতর অসুস্থ হয়। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।'
তিনি আরও জানান, আমাদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী থানার তরগাঁও গ্রামে। বর্তমানে দক্ষিণখান মুন্সি মার্কেট এলাকায় থাকতেন।
সজীবকে হাসপাতালে নিয়ে আসা তার মা সোলেমা বেগম বলেন, সকালে গার্মেন্টস থেকে ফোন দিয়ে জানানো হয়, কারা যেন আমার ছেলেকে মারধর করেছে। পরে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে গিয়ে ছেলেকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পাই। সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেয়। ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পর ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
সজীবের সহকর্মী মো. সবুজ বলেন, সকালে সজীব গার্মেন্টসে যাওয়ার পর মাহিম (২০) নামে তাদের এক সহকর্মী সজীবকে ডেকে কারখানার গেটের পাশে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে তাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে সজীব অচেতন হয়ে পড়লে মাহিম দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। কোন ইসু্যতে তাদের মধ্যে এই হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান এই সহকর্মী।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া মৃতু্যর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায়
সন্ত্রাসীদের গুলিতে
নিহত ফেনীর লিটন
ম ফেনী প্রতিনিধি
দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নুরুল হুদা লিটন (৩২) নামে ফেনীর এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি দাগনভূঞা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড পূর্ব জগৎপুর গ্রামের লাল মোহাম্মদের বাড়ির এবাদুল হকের ছেলে। শুক্রবার রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহান্সবাগে তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের চাচাত ভাই মোহাম্মদ সবুজ জানান, শুক্রবার রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ শেষে গাড়িতে উঠতে গেলে আগে থেকেই ওঁত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা শওকত মাহমুদ জানান, ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান লিটন। আগামী ফেব্রম্নয়ারি মাসের ১৫ তারিখে তার বাড়ি ফিরে বিয়ে করার কথা ছিল। পরিবারের সেই আশা পূরণ হলো না।
এলাকার সমাজসেবক সবুজ ও কবির আহাম্মদ জানান, এ নির্মম নিষ্ঠুরতম হত্যাকান্ডে এলাকাবাসী শোকাহত ও মর্মাহত। তাদের পরিবারে চলছে আহাজারি। তার মরদেহটি দেশে আনার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তার ছোটভাই মিঠু।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন স্বপন বিষয়টি শুনেছেন বলে নিশ্চিত করেন।
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী এবাদল হকের তিন ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে লিটন ছিলেন সবার বড়। মেজভাই সৌদি আরবে এবং ছোটভাই মিঠু দক্ষিণ আফ্রিকায় তার সঙ্গে থাকেন।