মধুসূদন পদক পেলেন কবি সুহিতা সুলতানা
প্রকাশ | ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর
বাংলা সাহিত্যের অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রেষ্ঠ কবিতা গ্রন্থের জন্য সৃজনশীল সাহিত্য (কবিতা) ক্যাটাগারিতে কবি সুহিতা সুলতানাকে মধুসূদন পদক দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে প্রধান অতিথি হিসেবে কবি সুহিতা সুলতানার হাতে পদক তুলে দেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার হেলাল মাহমুদ শরীফ।
এর আগে কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ৯ দিনব্যাপী মধুমেলার ৭ম দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মধুমঞ্চে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাংলা ভাষায় সাহিত্য রচনা করে বিশ্বের সঙ্গে মাতৃভাষার পরিচয় ঘটিয়েছেন মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তিনি ইতিহাসে আপন মহিমায় উজ্জ্বল নক্ষত্র। ক্ষণজন্মা পুরুষ হিসেবে তার আর্বিভাব ছিল বাংলা সাহিত্যে উষার অঙ্গনে দেবদূতের মতো। তার মেধা ও মননশীল সৃষ্টি চেতনায় সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আরবাউল হাছান মজুমদার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার হেলাল মাহমুদ শরীফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তুহিন হোসেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যশোরের সিভিল সার্জন ডা. বিপস্নব কান্তি বিশ্বাস, যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির, পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, যশোরের রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী জ্ঞানপ্রকাশানন্দ ও সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান।
অলোচনায় অংশ নেন মধুসূদন একাডেমির পরিচালক কবি খন্দকার খসরু পারভেজ, যশোর ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু, যশোরের সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি দীপংকর দাস রতন ও নওয়াপাড়া কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক কাজী শওকত শাহী।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন যশোর জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার সুমাইয়া জাহান ঝুরকা ও খুলনা বেতারের আবৃত্তি শিল্পী মাসুদুর রহমান। আলোচনা সভার পূর্বে ও পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।