কুমিলস্নায় বন্ধ হচ্ছে ৩৮টি অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার

প্রকাশ | ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিলস্না
কুমিলস্নায় বন্ধ হচ্ছে ৩৮টি অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। স্বাস্থ্য বিভাগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা. মো. মহিউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক তালিকা সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এসব লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৩৫টি। তবে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি, গত ৫ মাসে কুমিলস্নায় অন্তত ৩৮টি প্রতিষ্ঠানকে বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত এক সপ্তাহের টানা অভিযানে অন্তত ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্বাস্থ্য বিভাগের পর্যবেক্ষক টিমের মাধ্যমে বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একজন ভুয়া ডাক্তারকে তিন মাসের জেলসহ তার প্রতিষ্ঠান কালিরবাজার মডেল হাসপাতালটি বন্ধ করা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের কাছ থেকে জরিমানাও আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। স্বাস্থ্য বিভাগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা. মো. মহিউদ্দিন যায়যায়দিনকে জানান, যেখানেই অবৈধ হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক- সেখানেই সেগুলো বন্ধের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে- জরুরিভিত্তিতে লাইসেন্সবিহীন বা অবৈধ সব বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও বস্নাডব্যাংক বিধি মোতাবেক বন্ধ করে দেওয়ার জন্য। সব বিভাগীয় পরিচালক, সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্বাস্থ্য বিভাগের পর্যবেক্ষক টিমের সঙ্গে সরেজমিন অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠানগুলো নানান অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা পরিচালনা করে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোতেই সাধারণত ভুয়া ডাক্তার ও নার্সরা সেবা দিয়ে থাকেন। এসব প্রতিষ্ঠানগুলো অনুমোদন না পেলেও অবৈধ কাগজপত্র প্রকাশ্যে রেখে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে। অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর পরীক্ষা-নিরীক্ষার অনুমোদন ছাড়াই কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। নিয়মকানুন না মেনেই অপারেশন থিয়েটার, সিটি স্ক্যানসহ স্পর্শকাতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সবচেয়ে বেশি লাইসেন্সবিহীন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকে কুমিলস্না সদরে ১৩টি এবং কুমিলস্না সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৪টি। জেলায় যে ১৩৫টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নেই এর মধ্যে আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ৭২টির এবং আবেদনবিহীন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬৩টি।