বুয়েটে ভর্তি আবেদন
প্রক্রিয়া শুরু, চলবে
৫ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত
ম যাযাদি রিপোর্ট
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যা চলবে আগামী ৫ ফেব্রম্নয়ারি বিকাল ৩টা পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার
সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে অনলাইনে আবেদন করতে পারছেন
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।
বুয়েট সূত্র জানায়, ৫ ফেব্রম্নয়ারি আবেদন শেষ হলেও মোবাইল বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে ৬ ফেব্রম্নয়ারি বিকাল ৩টা পর্যন্ত। এরপর ১৩ ফেব্রম্নয়ারি প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য আবেদনকারীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
এবারও বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে প্রাক-নির্বাচনী ভর্তি পরীক্ষা ২৪ ফেব্রম্নয়ারি এবং চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়া হবে ৯ মার্চ।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১০০ নম্বরের প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সময় থাকবে ১ ঘণ্টা। প্রাক-নির্বাচনীতে ভুল উত্তরের জন্য নম্বর কাটা হবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। প্রাক-নির্বাচনীতে উত্তীর্ণদের নিয়ে পরের ধাপে চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তির জন্য নির্বাচিত ও অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ ৩১ মার্চ।
গত বছরের মতো এবারও বুয়েটে ১ হাজার ৩০৯টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এর মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য এলাকার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থীদের প্রকৌশল বিভাগ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের জন্য তিনটি এবং স্থাপত্য বিভাগে একটি করে সংরক্ষিত আসন রাখা হয়েছে।
বড়পুকুরিয়া খনির
সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া
শুরুর নির্দেশ
ম যাযাদি রিপোর্ট
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ড্রাইভার ও এমএলএসএস পদে ৮৬ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া ফের শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারকের আপিল বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি কর্তৃপক্ষের রিভিউ আবেদন খারিজ করে এই আদেশ দেন।
২০০৯ সালে ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। পরে নিয়োগপ্রার্থীরা হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।
রিটকারীদের পক্ষে বৃহস্পতিবার শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক। অপরদিকে কয়লাখনির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ এম মাসুম।
শুনানি শেষে শাহ মঞ্জুরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ২০০৯ সালে বড় পুকুরিয়া কয়লাখনি কর্তৃপক্ষ ড্রাইভার ও এমএলএসএস পদে ৮৬ জনকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়। এরপর যথারীতি চাকরি প্রার্থীরা আবেদন করেন। একপর্যায়ে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন নিয়োগপ্রত্যাশীরা। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ২০১৬ সালে ওই ৮৬ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেন।
শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, 'হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কর্তৃপক্ষ আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। আপিল বিভাগের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন (রিভিউ) করে বড়পুকুরিয়া কর্তৃপক্ষ। সেই আবেদন খারিজ করে বৃহস্পতিবার ৮৬ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিলেন সর্বোচ্চ আদালত।