রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

'গণতন্ত্রের অভাবে' দেশে ধনী-গরিবের বৈষম্য বাড়ছে : নজরুল

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর মৃতু্যবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার নয়া পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান -ফোকাস বাংলা

দেশে 'গণতন্ত্রের অভাবে' ধনী-গরিবের বৈষম্য ক্রমশ বাড়ছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, 'গণতন্ত্র নেই বলেই আজকে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নিষ্পেসিত; আর হাতেগোনা কিছু মানুষ প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার বাড়ি কিনছে। দেশের শতকরা ৫ ভাগ মানুষ দেশের বিপুল পরিমাণ সম্পদ আত্মসাৎ করে নিয়ে যাচ্ছে। কারণ একটাই, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সমর্থনের প্রয়োজন নেই সরকারের। ফলে তারা ভোটেই বিশ্বাস

করে না। যদি ভোটের প্রয়োজন হতো তারা অবাধ ও ?সুষ্ঠু নির্বাচন করত, ৭ জানুয়ারির মতো একতরফা নির্বাচন হতো না।'

বুধবার সকালে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন এই বিএনপি নেতা।

'ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায়' জনগণকে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'কৌশলে অন্যদের বাইরে রেখে কিংবা জোর-জবরদস্তি করে অন্যদের নির্বাচনের বাইরে রেখে নেতা বা প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্ট হওয়ার ইতিহাস বিএনপির নাই। ৯৬ সালের নির্বাচন করতে হয়েছিল একটা বিশেষ কারণে এবং যে কারণে সেই নির্বাচন করতে হয়েছিলে, সেই বিল পাস করেই বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ করে এই অফিসের (বিএনপি কার্যালয়) সামনে জনসভায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। ফলে আজকে বাংলাদেশে প্রকৃত গণতন্ত্র নাই। আমরা গণতন্ত্রহীন অবস্থায় জীবনযাপন করছি। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে গণতন্ত্র আমরা অর্জন করেছিলাম, আমাদের লাখো মানুষের রক্তের বিনিময়ে সেই গণতন্ত্র আজ নেই।'

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর নবম মৃতু্যবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ এসময় বক্তব্য রাখেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান কোকো। পরে তার মরদেহ দেশে এনে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।

সকালে কোকোর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, নাজিম উদ্দিন আলম ও রফিকুল ইসলামসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে