বঙ্গবাজারে অগ্নিকান্ড পুলিশের ওপর হামলা প্রতিবেদন ২৫ ফেব্রম্নয়ারি
প্রকাশ | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
বঙ্গবাজারে অগ্নিনির্বাপণের সময় পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৫ ফেব্রম্নয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেননি। সে কারণে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
এর আগে ২০২৩ সালের ৬ এপ্রিল বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইস্রাফিল হাওলাদার বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ের ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেটে আগুন নেভানোর জন্য বংশাল থানার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরসহ অন্য ফায়ার সার্ভিসের অনেক ইউনিট কাজ করে। এক পর্যায়ে আগুন আশপাশের মার্কেটসহ বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এনেক্সকো ভবনেও ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের ভয়াবহতা এমন ছিল যে অনেক প্রচেষ্টার পরও ফায়ার সার্ভিস পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিল না।
এসময় অজ্ঞাতপরিচয়ের ২৫০ থেকে ৩০০ জন দুষ্কৃতকারী দেশীয় অস্ত্রসহ বেআইনিভাবে জড়ো হয়ে বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেটের বিপরীত পাশে থাকা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। তারা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতিসহ ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হয়ে সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা দেন।
এসময় ঘটনাস্থলে থাকা এডিসির (চকবাজার জোন) নেতৃত্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়। বাদী ও তার সহযোগীরা সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে দুষ্কৃতকারীদের প্রতিহতের চেষ্টা করলে এক পর্যায়ে অজ্ঞাতপরিচয়ের আসামিরা তাদের সরকারি কাজে বাধা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। তারা লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। এতে বাদী গুরুতর আহত হন। ঘটনাস্থলে থাকা এসআই (নিরস্ত্র) মো. রুবেল খানও জখম হন।