উচ্ছেদ অভিযানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ :১২শ' জনের বিরুদ্ধে মামলা
ম যাযাদি ডেস্ক
রাজধানীর শাহজাহানপুরে খেলার মাঠের পাশে বস্তি ও কাঁচা বাজারে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর সময় স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ওসিসহ পাঁচজন আহত হওয়ার ঘটনায় রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শাহজাহানপুর থানায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) লেবার ইনচার্জ এসএম হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজিত কুমার সাহা এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলায় ৬ জনের নাম উলেস্নখসহ অজ্ঞাত ১২শ' থেকে ১৩শ' জনের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করা হয়। এতে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ও হামলার অভিযোগ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে শাহজাহানপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ঠাকুর দাস মালো বলেন, রোববার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত চলছে। উলেস্নখিত আসামিদের গ্রেপ্তার ও অজ্ঞাতদের শনাক্তে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
উলেস্নখ্য, রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে শাহজাহানপুরে খেলার মাঠের পাশে বস্তি ও কাঁচাবাজার উচ্ছেদে অভিযান চালায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) লোকজন। এ সময় হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন পুলিশ কনস্টেবল মেহেদী হাসান (২৪)। একই সময় শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজিত কুমার সাহা ও পরিদর্শক-অপারেশন মাইদুল ইসলামসহ আরও চার জন আহত হন।
রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ
গুলশান শপিং সেন্টার
ভাঙার আদেশ বহাল
ম যাযাদি রিপোর্ট
রাজধানীর গুলশান-১ এর 'গুলশান শপিং সেন্টার' গুঁড়িয়ে দিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। সোমবার প্রধান বিচারপতি ওবাদুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারকের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুলস্নাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১২ ডিসেম্বর ৩০ দিনের মধ্যে এই বিপণি কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- রাজউকসহ সংশ্লিষ্টদের এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছিল।
গত বছরের জুলাইয়ে গুলশান শপিং সেন্টার ভেঙে ফেলার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে 'বাণী চিত্র' ও 'চলচ্চিত্র' নামে দু'টি কোম্পানি। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত সেদিন রুল জারি করেন। পরে ১২ ডিসেম্বর রুলের চূড়ান্ত শুনানি করে এ শপিং সেন্টার ৩০ দিনের মধ্যে গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
২০১৭ সালে ২ জানুয়ারি এ শপিং সেন্টারের পাশের ডিএনসিসি কাঁচাবাজারে ভয়াবহ আগুন লাগে; প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ওই ঘটনার পর গুলশান শপিং সেন্টারের অগ্নিনিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
ওই বছরের ২৮ মে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গুলশান শপিং সেন্টার পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনে ওই ভবনে অগ্নিঝুঁকি সংক্রান্ত ১০টি ত্রম্নটি ধরা পড়ে। সে সময় ত্রম্নটি সারানোর জন্য সময় দিয়ে ভবন মালিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব ত্রম্নটি সারানো হয়নি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
এরপর ২০১৮ সালের ১১ জুন ফায়ার সার্ভিস ঘোষণা করে, ভবনটি 'ব্যবহার উপযোগী নয়'। ওই নোটিশের বিরুদ্ধে সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবের কাছে আপিল করে গুলশান শপিং সেন্টার কর্তৃপক্ষ। ফায়ার সার্ভিসের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যায় দোকান মালিক সমিতি।
কিন্তু হাইকোর্ট ফায়ার সার্ভিসের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করার নির্দেশ দেন। ২০২১ সালের ২১ জুন আবার ওই ভবন পরিদর্শন করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত কমিটির সদস্যরা। তখনো সিদ্ধান্ত বহাল থাকে।