ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮তম আসর ৬০ ভাগ স্টল ও প্যাভিলিয়ন নিয়েই শুরু হয়েছে। সোমবার মেলার দ্বিতীয় দিন দর্শনার্থীদের অনেকেই হতাশা প্রকাশ করলেও সরকারি ছুটির দিন আর মেলার শেষভাগে বিক্রি বাড়ার আশায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধুর বাড়ির আদলে করা জাদুঘর ঘুরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন অনেকে।
গত ২১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেছেন পূর্বাচলের স্থায়ী ভেনুতে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। তবে এখনো স্টল ও প্যাভিলিয়ন প্রস্তুত না হওয়ায় দর্শনার্থীদের অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেন।
দর্শনার্থী সালমান রহমান বলেন, মেলায় এবার যাত্রাপথ সুন্দর তবে এখনো স্টল প্রস্তুত না হওয়ায় পুরোপুরি হতাশ হয়েছি।
মেলার জয়ীতা স্টলের ব্যবসায়ী নারী উদ্যোক্তা সজন মহিলা সংস্থার সভানেত্রী নাছিমা আক্তার বলেন, গতবারের মতো এবারও রাজশাহী থেকে আমরা পণ্য নিয়ে আসছি। এবার মেলা থেকে মানুষজন ঈদের কেনাকাটা করবেন, সেদিকটা নজর রেখে প্রয়োজনীয় পোশাক সংগৃহে রেখেছি। মেলা জমলে এবারও সফল হব।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, মেলায় থাকা বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন ঘুরে মুগ্ধ হয়েছেন সবাই। এবার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধুর বাড়ির আদলে হুবহু করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর। যেখানে রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যবহৃত পোশাক, চশমা, কালোকোর্টসহ বইপুস্তক। যা দেখে মেলায় আগত দর্শনার্থীদের মধ্যে আনন্দ থাকলেও আবেগ আপস্নম্নত হচ্ছেন জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার ঘটনায়। শিশুরাও খুশি অজানাকে জানতে পেরে।
আব্দুল হক ভুইয়া ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ শিক্ষার্থী মাহিরা তাসফি প্রভা বলেন, বাবার সঙ্গে মেলায় ঘুরতে এসে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর দেখলাম। এর আগে দেখা হয়নি। খুব কষ্ট হচ্ছে, ওই বাড়িতে একই পরিবারের সবাইকে হত্যা করা হয়েছে। এখানে প্রতীকী গুলির চিহ্ন দেখানো হয়েছে। এমন ঘটনা খুবই বেদনাদায়ক।
বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন প্রস্তুতকারী হিমেল খান বলেন, বাণিজ্য মেলায় সারাদেশ থেকে লোকজন আসে। বিদেশি ক্রেতা-বিক্রেতাও থাকে। সবার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ঢাকার বাড়ি দেখার সুযোগ করতে পেরে আনন্দ হচ্ছে।
সূত্রমতে, এবারের মেলায় দেশ-বিদেশের মোট ৩৩০টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন অংশ নিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ১৮টি বিদেশি স্টল। এ ছাড়া স্থানীয় উদ্যোক্তারাও তাদের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রির স্টল সাজাচ্ছেন। আশা করা হচ্ছে এ মেলায় এবার ৫শ' কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ পাবেন জানিয়েছেন ইপিবি।
ইপিবি সচিব বিবেক সরকার বলেন, মেলা এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের কারণে ২১ দিন পিছিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখনই বলা যাচ্ছে না, মেলা কেমন জমবে। তবে দু-তিন দিনের মধ্যে স্টল প্রস্তুত হয়ে যাবে। অপ্রস্তুতের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এবার মেলার তারিখ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা স্টল পেয়েছেন তারা স্টল বসানোর সময় হাতে পায়নি। যদিও এটা সাময়িক সমস্যা।