ঢাকায় 'আন্তর্জাতিক উইমেন ফিল্মমেকার্স কনফারেন্স' শুরু

উদ্বোধন করেন প্রখ্যাত অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
রোববার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে ২ দিনব্যাপী 'দশম আন্তর্জাতিক উইমেন ফিল্মমেকার্স কনফারেন্সে' মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্ব্বলনের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত বলিউড অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর -ফোকাস বাংলা
চলচ্চিত্রে নারীর ভূমিকা নিয়ে ২ দিনব্যাপী 'দশম আন্তর্জাতিক উইমেন ফিল্মমেকার্স কনফারেন্স' শুরু হয়েছে। রোববার সকাল দশটায় রাজধানীর ঢাকা ক্লাবের স্যামসন লাউঞ্জের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ আয়োজিত এই কনফারেন্সে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্ব্বলনের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত বলিউড অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কিশওয়ার কামালের সভাপতিত্বে এ সময় আরও ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম এবং উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল। এর আগে শনিবার 'নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ' স্স্নোগানে পর্দা উঠেছে ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের। রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ আয়োজিত এ উৎসবের পর্দা নামবে আগামী ২৮ জানুয়ারি। জানা গেছে, এ উৎসবে ১০টি বিভাগের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে ৯ দিনের এই চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হবে ৭৫টি দেশের প্রায় আড়াইশ চলচ্চিত্র। মূলত, এই চলচ্চিত্র উৎসবের অংশ হিসেবেই 'দশম আন্তর্জাতিক উইমেন ফিল্মমেকার্স কনফারেন্স' শুরু হয়েছে। এতে দেশি-বিদেশি নারী চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সঙ্গে বাংলাদেশের নারী নির্মাতারা মতবিনিময়ের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা নেওয়ার সুযোগ পাবেন। আয়োজকরা বলছেন, সাংস্কৃতিক শিল্পের একটি প্রধান উপাদান হিসেবে সিনেমা উলেস্নখযোগ্য প্রভাব ফেলে। এটি এমন একটি প্রভাবশালী মাধ্যম যা সামাজিক পরিচয় এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে। যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নারীর গস্ন্যামারাইজেশনকেই মূলধারার সিনেমার প্রাধান্য দেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। তবে অনেক দেশেই এমন চলচ্চিত্র নির্মাতা আছেন যারা নারীর সম্ভাবনাকে চিত্রিত করেছে। তারা বলছেন, নারীভিত্তিক চলচ্চিত্রের বিষয়বস্তু আরও আলোচনার পাশাপাশি তাদের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া প্রয়োজন। সেজন্যই এমন আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজকরা প্রত্যাশা করেন, নারীভিত্তিক সিনেমার মান ও বিষয়বস্তু উন্নত করা, আগ্রহীদের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া তৈরি করার ক্ষেত্রে এই কনফারেন্স ভূমিকা পালন করবে। একই সঙ্গে পারস্পরিক ধারণার বিনিময় এবং বিভিন্ন অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে নারীরা সিনেমা তৈরিতে আরও ব্যাপকভাবে জড়িত হতে পারবেন বলেও প্রত্যাশা করেন তারা। প্রসঙ্গত, নয় দিনব্যাপী চলা এই উৎসব চলাকালে দেশি-বিদেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তন ও কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা, নৃত্যশালা মিলনায়তন, অলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাডেমি মিলনায়তনে। এসব মিলনায়তনের সব প্রদর্শনী সবাই বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারবেন। এ ছাড়া তরুণ নির্মাতাদের চলচ্চিত্র নির্মাণে উদ্বুদ্ধ করতে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এবারই প্রথমবার আয়োজন করা হয়েছে মাস্টার ক্লাসের। দেশের তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা ও শিক্ষার্থীরা এ ক্লাসে অংশ নিতে পারবেন। আগামী ২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের দিনব্যাপী এই মাস্টার ক্লাস অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী অঞ্জন দত্ত, ইরানের বিখ্যাত নির্মাতা মাজিদ মাজিদি ও চীনের চলচ্চিত্র শিক্ষক শি চুয়ান মাস্টার ক্লাস নেওয়ার কথা রয়েছে।