সম্প্রতি চালের মিলার পর্যায়ে বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকার মতো। এরপর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মিলার পর্যায়ে অনেক আলোচনার পর বর্তমানে কমানো হয়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। তবে ভোক্তা পর্যায়ে এখনো বেশি দামেই কিনছে মানুষ। শনিবার রাজধানীর উত্তর বাড্ডা এলাকার চালের পাইকারি আড়তে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযানে দেখা যায় এ চিত্র।
পাইকারি দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পুরনো দামে চাল কেনা থাকায় নতুন করে দাম কমলেও সেই দামে কেনা চাল তাদের হাতে এখনো আসেনি। এতে বাড়তি দামেই চাল বিক্রি করছেন তারা। দোকানিদের অভিযোগ, এভাবে মূল্যবৃদ্ধির ফলে তাদের নিজেদের ব্যবসায় ও হুমকির মুখে। এতে
তাদের কেনাবেচাও কমেছে।
এদিকে, এদিন উত্তর বাড্ডা এলাকায় চালানো অভিযানে নেতৃত্ব দেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ড. জয়নাল আবেদিন। রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে শুরু হওয়া অভিযানে ৩টি চালের দোকানে অভিযান চালানো হয়। তবে অসঙ্গতি না থাকায় জরিমানা করা হয়নি কাউকে।
এ প্রসঙ্গে জয়নাল আবেদিন বলেন, 'দোকানগুলোতে আমরা দেখেছি নতুন দামে এখনো চাল আসেনি। দু-তিনদিনের মধ্যে কমানো দামে চাল পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। দোকানদাররা তাদের ক্রয়ের দাম দেখিয়েছেন। সে দাম অনুসারে তারা ৩০-৪০ টাকা লাভ করছেন। তবে আগামী দু-একদিনের মধ্যে দাম আরও কমানো না হলে জরিমানার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
আগের দামে চাল নামিয়ে আনা সম্ভব কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, মন্ত্রণালয় থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জেলা-উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করছে মন্ত্রণালয়। ধানের দামও কিছুটা কমেছে। আশা করছি আমরা কমিয়ে আনতে পারব। আমরা সবার সঙ্গেই বৈঠক করছি। প্রয়োজনে আবারও বৈঠক করব। সব ধরনের পদক্ষেপ নেব।
অন্যদিকে, অভিযানের খবরে উত্তর বাড্ডা এলাকার অনেকগুলো দোকান বন্ধ করে দেয়। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অভিযান দলের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তারা জানান, আমাদের অভিযান চলমান থাকবে। আজ জেনে গেছে বলে বন্ধ করেছে। তবে সামনের দিনগুলোয় না জানিয়েই অভিযান চালানো হবে।