'মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার পদ্মা নদীতে রজনীগন্ধা ফেরিডুবির তিন দিনেও নিখোঁজ হুমায়ন কবীরের সন্ধান মেলেনি। কী নিয়ে বাড়ি যাব। কী জবাব দেব তার স্ত্রী ও ছেলেমেয়েকে।' রজনীগন্ধা ফেরির যান্ত্রিক চালক ও আরিচা অঞ্চলের ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি হুমায়ন কবীরের ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম তিন ধরে অপেক্ষায় থেকে শুক্রবার বিকালে এসব কথা বলেন।
ফেরিডুবির ঘটনা শুনে গত বুধবার রাতে তিনি
পাটুরিয়া ভাইয়ের সন্ধান করতে পাটুরিয়া
ঘাটে আসেন। কিন্তু তিন দিনেও তার নিখোঁজ ভাইয়ের সন্ধন মেলেনি। ভাইয়ের জন্য পাটুরিয়া ৫ নম্বর ঘাটের পাড়ে বসে নদীর দিকে তাকিয়ে ভাই ভাই বলে হাউমাউ করে বার বার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন তিনি। কখন ভাইয়ের সন্ধান পাবেন তাও জানেন না তিনি।
হুমায়ন কবীরের বাড়ি পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার মাটিভাঙ্গা এলাকায়। তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়ের বাবা। গত তিন দিনে ডুবুরি দল একটি কাভার্ড ভ্যান ও দু'টি ট্রাক উদ্ধার করতে পারলেও নিখোঁজ হুমায়ন কবীরকে উদ্ধার করতে পারেননি।
উলেস্নখ্য, গত বুধবার সকাল ৮টার দিকে পাটুরিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের কাছে ইউটিলিটি ফেরি রজনীগন্ধা ঘন কুয়াশার কারণে নোঙর করে থাকা অবস্থায় পদ্মা নদীতে ডুবে যায়। উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম নামের দুই উদ্ধারকারী জাহাজ দিয়ে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করা হলেও গত তিন দিনেও ফেরিটি উদ্ধার করতে পারেনি।
আরিচা অফিসের বিআউডবিস্নউটিসির ডিজিএম শাহ খালেদ নেওয়াজ বলেন, উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তমের ধারণ ক্ষমতা চেয়ে ফেরির ওজন বেশি থাকার কারণে ফেরিটি উদ্ধার কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় শুক্রবার এসে ফেরি উদ্ধারের কাজ শুরু করেন।