বিএনপির নির্বাচনে না যাওয়া ছিল ষড়যন্ত্রের :কাদের
প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
'বিএনপির নির্বাচনে অংশ না নেওয়া ছিল- দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ' মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'একটা বিষয় আপনারা কেন বলছেন! এখন যে আপাতত সহিংসতা বন্ধ আছে, এটা পার্মানেন্ট? এমন কথা এখনো বলা যায় না। এখন হয়তো তারা প্রস্তুত হচ্ছে বড় ধরনের সহিংসতার। ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিচ্ছে, বাইরে কথা বলছে। তারা শক্তি সঞ্চয় করছে বড় ধরনের সহিংসতার।'
শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মূল সংকট নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ পেরিয়ে এসেছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'প্রাকৃতিক যে সংকট, তার ইতি কোথায় আমরা জানি না। আমাদের সবারই ধৈর্য ধারণ করা উচিত। দায়িত্বশীল যারা, তাদের দায়িত্ব নিয়ে কথা বলা উচিত- এখন দেশের সকল সমস্যা নিয়েই শেখ হাসিনা সরকারের ভাবনা।'
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, 'তিনি (মঈন খান) বলেছেন, নির্বাচনকে বিশ্ববাসী সাজানো নাটক বলছে। কোন দেশ বলেছে? বরং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও প্রতিবেশী দেশগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। খুব নিচু স্তরের সমালোচনা হচ্ছে, এগুলো নিয়ে মাথা ঘামালে আমরা সামনে এগোতে পারব না। সামনে আমাদের রমজান আসছে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও মুদ্রাস্ফীতিসহ নানা কাজ রয়েছে।'
তিনি বলেন, 'আমাদের জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন ২০ জানুয়ারি হতে যাচ্ছে- এ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমাদের দেশের ইতিহাসে গণতন্ত্রের অভিযাত্রার মাইলফলক।'
মন্ত্রী বলেন, 'সারা বিশ্বে একটা সর্বগ্রাসী সংকট সবাইকে ঘিরে ধরেছে। যুদ্ধ তো লেগেই আছে- আমাদের এখানে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। অতীতে আমরা এত শীত দেখিনি। আমাদের অভিজ্ঞতা নেই।'
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা তার বক্তব্যের সমালোচনা করব না। নির্বাচন কমিশন একটা স্বাধীন কমিশন হিসেবে সংকটে একটা দায়িত্ব পালন করেছে।'
বিএনপির নির্বাচনে না আসা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'তাদের
অনুপস্থিতিতেও কেন্দ্র ভোটারশূন্য হয়নি, অপ্রতিদ্বন্দ্বিতাও হয়নি। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে নির্বাচনে ৪০ শতাংশের উপস্থিতি বেশি হয় না। ইউরোপের অনেক দেশে সব দল নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরও ২৫-৩০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়।'
তিনি বলেন, 'বাধা এবং প্রতিকূলতার মুখে নির্বাচনে জনগণের যে অংশগ্রহণ হয়েছে, তা অনেকেই ভাবতে পারেনি। এত অপপ্রচারের পরও ৪২.৮ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। আমাদের এখানে অগণতান্ত্রিক পন্থায় একটি দলকে ক্ষমতায় বসানোর দেশি-বিদেশি অপতৎপরতা ছিল, এখনো নেই সেটিও বলা যায় না। দেশের জনগণ গণতন্ত্রের অকৃত্রিম পাহারাদার হিসেবে অগণতান্ত্রিক কিছু মেনে নেয়নি, মেনে নেবেও না।'
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দি, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপস্নব বড়ুয়া ও উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।