সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
সারাদেশে জব্দ থাকা মালামালের অবস্থা জানতে চান হাইকোর্ট ম যাযাদি ডেস্ক দেশে থানা ও আদালতের মালখানায় থাকা মামলার আলামতের সর্বশেষ তথ্য দুই মাসের মধ্যে জানাতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুলস্নাহর বেঞ্চ এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন। রিটকারীর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, পুলিশ মহাপরিদর্শককে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। এ দিন রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচজন আইনজীবী মোহাম্মদ নোয়াব আলী, মো. মুজাহেদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, জি এম মুজাহিদুর রহমান ও ইমরুল কায়েস এই রিট আবেদনটি করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং ঢাকার পুলিশ কমিশনারকে সেখানে বিবাদী করা হয়। অ্যাডভোকেট শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, দেশে মালখানা ব্যবস্থাপনায় সরকারের 'অবহেলাকে' অবৈধ ঘোষণার আর্জি জানিয়ে ২০২২ সালে একটি রিট আবেদন করেন পাঁচ আইনজীবী। দেশের বিভিন্ন মালখানায় কোটি কোটি টাকার গাড়ি ও অন্যান্য জিনিসপত্র বিভিন্ন সময় যেগুলো আটক করা হয় অব্যবস্থাপনায় নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমের সংবাদ ও ঢাকার ১০টি থানার মালখানার ছবি রিট আবেদনের সঙ্গে দাখিল করা হয়। আবেদনে মালখানা ব্যবস্থাপনায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আদেশ চাওয়া হয় জানিয়ে শিশির মনির বলেন, 'ওই সময় হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মামলার অবস্থা জানিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি। বৃহস্পতিবার এই বেঞ্চ দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল না করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।' বিশ্বে বায়ুদূষণে শীর্ষে কলকাতা, ৬ষ্ঠ অবস্থান রাজধানী ঢাকার ম যাযাদি ডেস্ক বিশ্বের ১০০ শহরের মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে বায়ুদূষণে ঢাকার স্থান ছিল ষষ্ঠ। এদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে ঢাকার স্কোর ছিল ১৬৮। এ স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর বলে ধরা হয়। এদিন বিশ্বে বায়ুদূষণে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে ছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা ও পাকিস্তানের শহর করাচি। এই দুই শহরের স্কোর যথাক্রমে ২৪০ ও ২১২। বায়ুদূষণের এ পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে। আইকিউএয়ারের দেওয়া বৃহস্পতিবারের তালিকায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই (পিএম ২.৫) দূষণের প্রধান উৎস। এদিন ঢাকার বাতাসে যতটা এই বস্তুকণা আছে তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডবিস্নউএইচও) মানদন্ডের চেয়ে ২০ গুণের বেশি। বাতাসের এ অবস্থা থাকায় সবার জন্য পরামর্শ, আজ বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বায়ুদূষণ বেশি হলে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকেন সংবেদনশীল গোষ্ঠীর ব্যক্তিরা। তাদের মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা ও জটিল রোগে ভোগা ব্যক্তিরা। তাদের বিষয়ে বিশেষ যত্নবান হওয়া দরকার বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। আইকিউএয়ারের মানদন্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে 'মাঝারি' বা 'গ্রহণযোগ্য' মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা 'অস্বাস্থ্যকর' বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে 'খুবই অস্বাস্থ্যকর' বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে 'দুর্যোগপূর্ণ' বা 'ঝুঁকিপূর্ণ' ধরা হয়।