মৃতু্যর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে হার মানলেন যশোরে কুপিয়ে দুই পা প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া সেই পস্নট ব্যবসায়ী সমিতির নেতা ও মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল মালেক। ২০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার দুপুরে তিনি মারা যান। ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃতু্যর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে মো. আমান উলস্নাহ।
যশোরের আইডিয়াল সিটি মালিক সমিতির সভাপতি মফিজুর রহমান বলেন, 'সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও উপশহর আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল মালেকের কাছে প্রায়ই চাঁদা চাওয়া হতো। চাঁদা না দেওয়ায় সন্ত্রাসীরা পস্নটে বসে মাদক সেবন এবং স্থানীয়দের বিরক্ত করত। এজন্য সমিতির কোষাধ্যক্ষ আব্দুল মালেক থানায় মামলা করেন। মামলা করার কারণে তাকে আরবপুর দীঘিরপাড়া মসজিদের সামনে থেকে ধরে নিয়ে যায় স্থানীয় সন্ত্রাসী মামুনের নেতৃত্বে ৭-৮ জন। ধরে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুই পা কুপিয়ে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দেয়।'
তাকে প্রথমে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়। ঢাকা নিয়ে তাকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুরের দিকে তিনি মারা যান।
এদিকে, ওই হামলার ঘটনায় পরদিন ৩০ ডিসেম্বর যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেন তার ছেলে মো. আমান উলস্নাহ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই হেলাল উদ্দিন জানিয়েছেন, এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিরা পলাতক থাকায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, হামলার শিকার পস্নট ব্যবসায়ী সমিতির নেতা ও মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল মালেক ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। হামলার ঘটনায় ইতোপূর্বে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বাকিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।