দুর্নীতি :সহোদর পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের নির্দেশ
ম যাযাদি ডেস্ক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দা জয়পুরহাটের এসপি মো. নুরে আলম ও তার সহোদর ঢাকা মেট্রোপলিটনে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা সারে আলমের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অনুসন্ধান শেষে আগামী ৩ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট
বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রিট আবেদন থেকে জানা গেছে, গত বছরের ১৮ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী খুরশেদ আলম দুদকের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিতভাবে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের বিশদ বিবরণ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে একটি আবেদন করেন। কিন্তু দুদক এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক কালক্ষেপণ করে ও ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়নি। এতে সংক্ষুব্ধ হয়ে আবেদনকারী খুরশেদ আলম হাইকোর্টে রিট করেন। উলেস্নখ্য, পুলিশ কর্মকর্তা নূরে আলম ও ওসি সারে আলম আপন দুই ভাই।
আবাসিক হোটেল
থেকে প্রকৌশলীর
লাশ উদ্ধার
ম যাযাদি রিপোর্ট
রাজধানীর নয়া পল্টনের একটি আবাসিক হোটেলের শৌচাগার থেকে মো. আব্বাছ উদ্দিন (৫৫) নামের এক প্রকৌশলীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নয়া পল্টনের হোটেল দ্য ক্যাপিটাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুল হাসান বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ হোটেলে যায়। হোটেলের একটি কক্ষের শৌচাগারের দরজা ভেঙে ভেতরে আব্বাছ উদ্দিনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাকে উদ্ধার করে দিবাগত রাত ২টা ২০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আব্বাছ উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি কুমিলস্নার মুরাদনগর থানা এলাকায়। তার বাবার নাম আবদুল খালেক।
এসআই কামরুল হাসান বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে তার মৃতু্যর সঠিক কারণ বলা যাবে।
ঢামেকে চিকিৎসাধীন
হাজতির মৃতু্য
ম যাযাদি রিপোর্ট
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. নুরুল ইসলাম
(৫০) নামে এক হাজতি মারা গেছেন। বুধবার সকালের দিকে তিনি মারা যান।
কারারক্ষী আব্দুর রহিম বলেন, গত শুক্রবার হঠাৎ কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন নুরুল ইসলাম। পরে কারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে এলে ২০০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তির পরামর্শ দেন চিকিৎসক। পরে বুধবার সকালের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নুরুল ইসলাম কী মামলায় কারাগারে ছিলেন তা বলতে পারছি না। তার হাজতি নম্বর-৬১৮৩৯/২৩।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তার মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হবে।