শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১

পল্টন থানার নাশকতার মামলায় ফখরুল-আমীর খসরুর জামিন

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
পল্টন থানার নাশকতার মামলায় ফখরুল-আমীর খসরুর জামিন

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে পল্টন থানার নাশকতার এক মামলায় জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার বিকালে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত তাদের জামিনের আদেশ দেন।

আসামিদের পক্ষে মহসিন মিয়া, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জামিন চেয়ে শুনানি করেন। আইনজীবীরা বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। বয়স্ক, অসুস্থ বিবেচনায় জামিনের প্রার্থনা করেন তারা। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিনের আদেশ দেন।

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর এজাহারনামীয় ও তাদের সহযোগী আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বেআইনি জনতাবদ্ধে দাঙ্গা-হাঙ্গামা করতে বাঁশের লাঠি নিয়ে সজ্জিত হয়ে পুলিশকে আক্রমণ, বল প্রয়োগ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গুরুতর জখম করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিসহ ব্যক্তি ও সম্পত্তির ক্ষতি করেন। উলিস্নখিত আসামিরা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা। তারা ঘটনার দিন নাশকতা ও অরাজক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রকাশ্যে বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে এজাহারনামীয় ও পলাতক আসামিরা পল্টন মডেল থানার সামনে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ এবং ককটেল বিস্ফোরণ করে পুলিশ সদস্যদের গুরুতর আহত করেন।

গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ছিল। মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষ পরে বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্ক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে বেলা তিনটার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পন্ড হয়ে যায়।

বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক। সংঘর্ষে হাজারের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি বিএনপির।

ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে মির্জা ফখরুল ১১ মামলার আসামি। যার মধ্যে ৯ মামলায় গত ১০ জানুয়ারি জামিন মঞ্জুর করে সিএমএম আদালত। একই দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে হাইকোর্ট।

জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের অভিযোগের মামলায় তাকে আদালতে হাজির করা হলে গত ২৯ অক্টোবর আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

অন্যদিকে, গত ২ নভেম্বর রাত পৌনে ১টায় গুলশানের বাসা থেকে আমীর খসরুকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ৩ নভেম্বর তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ৯ নভেম্বর রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে