নির্বাচনের কারণে স্থগিত হয়েছিল স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রম। নির্বাচন শেষ হয়ে যাওয়ায় আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেই সঙ্গে চলতি মাসেই দেশের ১৫টি উপজেলার সাড়ে ২৪ লাখ নাগরিকের মধ্যে উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।
ইতোমধ্যে সংস্থাটির জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশনস) ফয়সাল কাদেরের সই করা নির্দেশনা মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে। এতে বরিশালের বাকেরগঞ্জ, কুমিলস্নার সেনানিবাস, দিনাজপুরের বিরামপুর এবং সিরাজগঞ্জের উলস্নাপাড়ায় ২৩-২৫ জানুয়ারি; চট্টগ্রামের লোহাগড়া, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, নাটোরের লালপুর, ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া ও বাগেরহাটের চিতলমারীতে ২৬-২৮ জানুয়ারি; ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা, পাবনার ভাঙ্গুড়া, সিলেটের বিয়ানীবাজার ও শরীয়তপুরের ডামুড্যায় ২৯-৩১ জানুয়ারি এবং খুলনার ফুলতলা ও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ৪-৬ ফেব্রম্নয়ারি স্মার্টকার্ড বিতরণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। এই ১৫ উপজেলায় ২৪ লাখ ৫৬ হাজার ৪০০ জনকে দেওয়া হবে উন্নতমানে এই নাগরিক পরিচয়পত্র।
এদিকে সংসদ নির্বাচনের কারণে স্থগিত স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রমও চালু করার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা পাঠিয়েছে ইসি। সংস্থাটির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) ফয়সল কাদেরের পাঠানো ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সারাদেশে মাঠপর্যায়ে চলমান স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম ৩০ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
এ ছাড়া যেসব উপজেলা, থানা পর্যায়ে স্মার্টকার্ড মুদ্রণপূর্বক প্রেরণ করা হয়েছিল, কিন্তু বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়নি, তাদের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিতরণ কার্যক্রম শুরু করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। ওই নির্দেশনার প্রেক্ষিতে বর্তমানে মাঠপর্যায়ে স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এ অবস্থায় যেসব উপজেলা, থানায় স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল, সেসব উপজেলা-থানায় আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে বিতরণ কার্যক্রম শুরু করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১১ সালে হাতে নেওয়া স্মার্টকার্ড প্রকল্পটির মেয়াদ শেষে সরকারি তহবিল থেকে নেওয়া এ-সংক্রান্ত দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্প চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি প্রথম হাতে নেওয়ার সময়কার ৯ কোটি ভোটারকে উন্নত মানের এনআইডি দেওয়াই ছিল একমাত্র লক্ষ্য। অথচ ১২ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো ওই ৯ কোটি ভোটারের স্মার্টকার্ড বিতরণ সম্পন্ন করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
প্রথমে ফরাসি প্রযুক্তি পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অবার্থার টেকনোলজির কাছ থেকে এই কার্ড করে নিলেও, চুক্তি ভঙ্গ করায় প্রতিষ্ঠানটিকে আর কাজ দেয়নি ইসি। বর্তমানে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে স্মার্টকার্ড তৈরি করে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।