যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে পলক
প্রকাশ | ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক এবং সম্ভাবনার সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও ঘনিষ্ঠ হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
অনেক মহল বলছে নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটা ব্যবস্থা নিলেও নিতে পারে, আওয়ামী লীগের একজন সংসদ সদস্য (এমপি) হিসেবে আপনি কী মনে করছেন সম্পর্ক মধুর দিকে যাচ্ছে- এ প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, 'আমাদের নতুন সরকারের নতুন মন্ত্রিসভার একজন এমপি একটি দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করা এবং তার মধ্য দিয়ে ব্যবসা, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি-উদ্ভাবন এগুলো নিয়ে আলোচনা করার মধ্য দিয়ে নিশ্চয়ই আপনারা বুঝতে পারেন যে, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো রয়েছে এবং আগামী পাঁচ বছর নতুন সরকারের সঙ্গে আরও নতুন নতুন বিষয় নিয়ে সম্ভাবনার দ্বারগুলো উন্মোচিত হচ্ছে।'
তিনি বলেন, 'আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে সেটাই মনে হয়েছে, বাংলাদেশের ব্যাপারে বিশ্বের অন্য দেশগুলো খুব আগ্রহী এবং রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, তার যে বিভিন্ন কথা এবং আলোচনার বিষয় বস্তু এগুলো থেকে আমার কাছে মনে হয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে উন্মোচিত, ভবিষ্যতে যে আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং যে সম্ভাবনার সম্পর্ক এটা আরও সম্প্রসারিত হবে ও ঘনিষ্ঠ হবে।'
পলক বলেন, 'আগামী ২০৪১ সালে প্রধানমন্ত্রীর যে "স্মার্ট বাংলাদেশ" রূপকল্প সেটি পূরণের জন্য আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের যে হাত বাড়িয়েছি সেখানে আমেরিকার বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে এবং আমরা একসঙ্গে মিলে কাজ করবো দুই দেশের জনগণের জন্য, বিশ্বের জন্য। আমার কাছে আজকের বৈঠক থেকে এটাই মনে হয়েছে।'
সৌজন্য সাক্ষাতের বিষয়ে পলক বলেন, ২০৪১ সাল নাগাদ 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়ার যে রূপকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন সেটা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে কাজ করবে তা নিয়ে আজ কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমাদের আলোচনার মূল তিনটি উদ্দেশ্য ছিল, আমেরিকা আমাদের সফটওয়্যার ও ফ্রিল্যান্সারদের আউটসোর্সিংয়ের সবচেয়ে বড় গন্তব্য। যে ৬০টি দেশে আমরা সফটওয়্যার রপ্তানি করি, আমেরিকায় তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয়। আমেরিকায় আমাদের আউটসোর্সিংয়ের ক্লায়েন্ট অন্য দেশের তুলনায় বেশি। কীভাবে এটা আরও বাড়াতে পারি সেটা নিয়ে আমরা কথা বলেছি।'