ভোট কেন্দ্রের গোপন কক্ষে না গিয়ে প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে সিল দেওয়ায় নির্বাচন কমিশনে (ইসি) শুনানিতে গিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন নতুন মন্ত্রিসভার ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
সোমবার নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন
কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার অভিযোগের ব্যাখ্যা শেষে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ সরকারে আইন রয়েছে, সংবিধান রয়েছে এবং আমি আইনের ঊর্ধ্বে নই। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অতএব বিধান অনুসারে আমাদের ইসি থেকে তারা আমাকে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলেছেন। আমি উপস্থিত হয়েছি। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার যতটুকু বিশ্বাস মেজর কোনো অপরাধ যদি নাওবা থাকে তারপরও আমি বলেছি, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। অতএব ক্ষমাশীল দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রেখে আমি কথা শেষ করে চলে এসেছি। কমিশন বলেছে, তারা দেখবেন বিষয়টি, এটা তাদের বিষয়। তিনি তো বলতে পারেন না যে, তাকে রেজাল্ট দেন।
ভালো নির্বাচন হয়েছে, সব জায়গায় প্রশংসা হয়েছে, আপনার এ কর্মকান্ডের জন্য আওয়ামী লীগ বিব্রত কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ফরিদুল হক খান বলেন, না, আওয়ামী লীগ বিব্রত না, কেউ বিব্রত না।
প্রকাশ্যে ভোট দেওয়া কি আপনার অপরাধ ছিল, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যতটুকু বলার আমি বলেছি আপনাদের। এর চেয়ে বেশিকিছু বলার কোনো সুযোগ নেই এখানে।
এর আগে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন জামালপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য (এমপি) ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে না গিয়ে প্রকাশ্যে ভোট দেন। বিষয়টি কমিশনের দৃষ্টিগোচর হলে ১১ জানুয়ারি তাকে ব্যাখ্যা তলব করে ইসি।