শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

মেডিকেলের ৫৩৮০ আসনে ভর্তিতে আবেদন শুরু

যাযাদি ডেস্ক
  ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
মেডিকেলের ৫৩৮০ আসনে ভর্তিতে আবেদন শুরু

দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে আবেদন করতে পারছেন আগ্রহী শিক্ষার্থীরা, যা চলবে আগামী ২৩ জানুয়ারি। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৯ ফেব্রম্নয়ারি সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে ২৪ জানুয়ারি রাত ১২ পর্যন্ত। প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে ৫ ফেব্রম্নয়ারি থেকে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১১ জানুয়ারি সকাল ১০টা অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। আর শেষ হবে ২৩ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে অনলাইনে আবেদন ফি জমার শেষ দিন ২৪ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত; প্রবেশপত্র বিতরণ হবে ৫-৭ ফেব্রম্নয়ারি (ডাউনলোড রঙিন প্রিন্ট) পর্যন্ত। ভর্তি পরীক্ষা হবে ৯ ফেব্রম্নয়ারি, সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত।

এর আগে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা-২০২৪ প্রকাশ করা হয়েছে।

এর আগে ২৪ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত সভা শেষে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময় উলেস্নখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে আসন বাড়ানো হয়েছে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে ১ হাজার ৩০টি আসন বেড়েছে। এর ফলে এবার সরকারি মেডিকেল কলেজে ৫ হাজার ৩৮০ শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবেন। এছাড়া বেসরকারি মেডিকেলের জন্য আসন রয়েছে ৬ হাজার ৩৪৮টি। আর্মি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের জন্য ৩৭৫টি আসন বরাদ্দ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরও বলেছেন, 'এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় নূূ্যনতম নম্বর (পাস নম্বর) গতবারের মতো এবারও ৪০ রাখা হয়েছে। মাইগ্রেশনের সময় আমরা তিনবার দিচ্ছি। বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তির জন্য সব কলেজকে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা সব কলেজে চয়েজ একবারে দিতে পারবেন, সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতেও একই নিয়ম বহাল।'

লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় ১০০টি প্রশ্নের প্রতিটি ১ নম্বর করে মোট (এইচএসসি বা সমমান সিলেবাস অনুযায়ী) ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিষয়ভিত্তিক বিভাজন পদার্থবিদ্যা ২০, রসায়নবিদ্যা ২৫, জীববিজ্ঞান ৩০, ইংরেজি ১৫ ও সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ) ১০ অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।

লিখিত পরীক্ষার প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম পেলে অকৃতকার্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে। ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম পেলে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবেন না।

২৪ ডিসেম্বরের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি থাকা দ্বিতীয়বার ভর্তিইচ্ছুকদের ১০ নম্বর কাটা হবে। এ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় জেলা কোটা বাতিল করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্ধারিত সময়ে আসন পূরণ করা না গেলে সেসব আসনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবেন।

সভা সূত্রে জানা গেছে, অনেকেই মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেন। পরবর্তী সময় ভালো কোথাও ভর্তির সুযোগ পেলে আগের আসনটি ফাঁকা হয়ে যায়। এতে সরকারের অর্থ অপচয় হয়। এ বিষয়ে কঠোরতার জন্য মেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তি থাকা দ্বিতীয়বার ভর্তিইচ্ছুকদের ১৫ নম্বর কাটা নিয়ে আলোচনা হয়। পরে সবার পরামর্শে ১০ নম্বর কাটার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় নিরুৎসাহিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি নেই, এমন শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয়বার ভর্তিইচ্ছুকদের জন্য আগের মতো ৫ নম্বর কাটার সিদ্ধান্ত বহাল আছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে