শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

ভোটের অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ ইসি

রেজা মাহমুদ
  ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
ভোটের অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ ইসি

নির্বাচনের অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। দলীয় সরকারের অধীনে যে এমন অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন হতে পারে এর নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বর্তমান ইসি। নির্বাচন অবাধ ও গ্রহণযোগ্য করতে কমিশনের চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও। আর আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মত হচ্ছে, গর্ব করার মতো একটি নির্বাচন উপহার দিয়েছে ইসি।

বাংলাদেশের সংবিধান, জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এবং বিভিন্ন বিধিমালা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসিকে যথেষ্ট ক্ষমতা দিয়েছে। অনেকের মতে, আইনি ক্ষমতায় বাংলাদেশের ইসি ভারতের ইসির চেয়ে শক্তিশালী। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের ইসি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারেনি। কিন্তু এবার ইসি নির্বাচন পরিচালনায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পেরেছে বলেই সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। তারা বলছেন শান্তিপূর্ণ ভোট আয়োজনে বাধা দিয়ে ইসির হাত থেকে ক্ষমতাসীন দলের সদস্য, প্রভাবশালী কেউই ছাড় পায়নি। যেখানে অনিয়মের আভাস পেয়েছে সেখানে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফলে দিন শেষে দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সফল একটি ভোট আয়োজনে সক্ষম হয়েছে কমিশন।

এদিকে নির্বাচন শেষে ভারতের পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন অনেক দেশের চেয়ে ভালো ভোট হয়েছে। রাশিয়া পর্যবেক্ষরা বলেছেন ভোটের পরিস্থিতি প্রমাণ করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ শক্তিশালী হচ্ছে। অন্যদিকে, ভোট কেন্দ্রে উলেস্নখযোগ্য সংখ্যক ভোটার উপস্থিতি দেখা গেছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্যনুযায়ী এবার ভোট পড়ছে ৪০ শতাংশ। অর্থাৎ কমিশন ভোটার বান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।

ভোটের দিন সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে ও সারাদেশের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য দেখা গেছে, বেশিরভাগ কেন্দ্রই কোনো হট্টগোল অনিয়ম ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। বরাবর জাল ভোটের যে মহোৎসব দেখা যায়, এবার তাও ছিল না। এককথায়, দুই একটা বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া দেশের ইতিহাসে অন্যতম সফল একটি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ভোটে অংশ নেয়া বিভিন্ন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের দাবি স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম এমন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর এই অভাবনীয় বিষয়টি সম্ভব হয়েছে নির্বাচন কমিশনের নিষ্ঠা, সততা, আন্তরিকতা, ন্যায়পরায়ণতা ও মনিটরিং-এর কারণে।

জানা গেছে, এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে ১৪০ কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। এরমধ্যে খুলনায় ২৪টি, বরিশালে ১৪টি, রংপুরে ৪টি, রাজশাহীতে ৮টি, ঢাকায় ২০টি, ময়মনসিংহে ১১টি, চট্টগ্রামে ৪৫টি, সিলেটে ১৪টি কেন্দ্রে এসব ঘটনা ঘটেছে। তবে এর প্রতিটি ঘটনায় পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের তথ্যানুযায়ী অনিয়মের অভিযোগে ৪২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এছাড়াও নির্বাচনে অনিয়ম ও সহিংসতার অভিযোগে ৯টি আসনের ২১টি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব ঘটনায় ২০ জনের বেশি ব্যক্তিকে সাজা দেওয়া হয়েছে। ভোট স্থগিত হওয়া কেন্দ্রগুলো হলো : সুনামগঞ্জ-২-এ মিরাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শুকুরনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়, কক্সবাজার-১-এ চরণদ্বীপ ভূমিহীন প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ ফুলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মরংগুনা অসুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জামালপুর-৫-এ জাগির মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। নরসিংদী-৪-এ ইব্রাহীমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নরসিংদী-৩-এ দুলালপুর সিনিয়র ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা, ভিটিচিনাদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টাঙ্গাইল-২-এ কাহেতা সরকারি প্রাথমিক স্কুল। এছাড়াও অনিয়মের অভিযোগে ভোট স্থগিত হয়েছে কুমিলস্না-৩ আসনের ৭৬ ও ৮১ নম্বর কেন্দ্র, কুমিলস্না-৪ আসনের ৮৪, ২৮ ও ৩৫, ৩৮, ৪৯, ৭৪, ৭৫, ৮৩ নম্বর কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ।

নরসিংদী-৪ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের ছেলে মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদী জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বাতিল করা হয়। মন্ত্রীর ছেলে হওয়ার পরেও ইসি তাকে ছাড় দেয়নি, যা বিগত সময়ে এমন দেখা যায়নি বললেই চলে।

এদিকে ভোট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সরকারের সহযোগিতা পেয়েছেন বলেই দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পেরেছেন বলে দাবি করেছেন।

সিইসি বলেন, 'আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে কি না সেটি জনগণ কীভাবে বলে তা দেখে হয়তো বলতে পারব। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে কিছুটা চ্যালেঞ্জ থাকে। কিন্তু নিরপেক্ষ নির্বাচন করার বিষয়ে সরকারের আন্তরিকতা ছিল। তাদের সেই সহযোগিতা পেয়েছি বলে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। চূড়ান্ত মূল্যায়ন হলে বলা যাবে, নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে কি না।'

নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে অনুষ্ঠিত ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে ১৯৯১ সালের পঞ্চম এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ১৯৯৬ (জুন), ২০০১ ও ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত যথাক্রমে সপ্তম, অষ্টম ও নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছাড়া দলীয় সরকারের অধীনে ১৯৭৩, ১৯৭৯, ১৯৮৬, ১৯৮৮, ১৯৯৬ (ফেব্রম্নয়ারি), ২০১৪ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ, দশম ও একাদশ জাতীয় নির্বাচনগুলোর সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক আছে। অভিযোগ আছে, প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ, দশম ও একাদশ জাতীয় নির্বাচনগুলো পরিচালনায় মুখ্য ভূমিকায় ছিল ক্ষমতায় থাকা সরকারগুলো। ইসির ভূমিকা ছিল গৌণ। ১৯৭২ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত বাংলাদেশের প্রথম সিইসি ছিলেন বিচারপতি মো. ইদ্রিস। তার নেতৃত্বাধীন কমিশনের মেয়াদ ছিল ১৯৭২ সালের ৭ জুলাই থেকে ১৯৭৭ সালের ৭ জুলাই পর্যন্ত। এই কমিশনের অধীনে ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে পত্রপত্রিকা, রাষ্ট্রীয় রেডিও-টেলিভিশন ও যানবাহনসহ প্রশাসনযন্ত্রকে ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওঠে আওয়ামী লীগ কর্তৃক বিরোধী দলের প্রার্থীকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের। ১১টি আসনে বিরোধীদলীয় কোনো প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দিতে পারেননি। ইদ্রিস কমিশন শাসক দলের প্রভাব-প্রতিপত্তির কাছে নিশ্চুপ থাকাই শ্রেয় মনে করে এবং জাতীয় সংসদের মোট ৩০০ আসনের ২৯৩টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর দু'জন সামরিক শাসক সামরিক ও বেসামরিক পোশাকে প্রায় ১৫ বছর দেশ শাসন করেন। বেসামরিক পোশাকে রাজনৈতিক দল গঠন করে তারা যে তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন (২য়, ৩য় ও ৪র্থ) অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এ সময়কালে যারা সিইসির দায়িত্বে ছিলেন তারা হলেন বিচারপতি একেএম নূরুল ইসলাম এবং বিচারপতি চৌধুরী এটিএম মসউদ। বিচারপতি একেএম নূরুল ইসলাম সিইসি পদে নিয়োগ পান ১৯৭৭ সালে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের সময়ে। সামরিক শাসক এইচএম এরশাদের শাসনামলে সিইসি হিসেবে নিয়োগ পান বিচারপতি চৌধুরী এটিএম মসউদ। এ দু'জনের নেতৃত্বাধীন ইসি উপর্যুক্ত তিনটি সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে অংশগ্রহণকারী সব দলের জন্য লেভেল পেস্নয়িং ফিল্ড তৈরির কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। জয়লাভের জন্য ক্ষমতায় থাকা দলগুলো মাঠ প্রশাসনসহ পুরো প্রশাসনযন্ত্রকে ব্যবহার করে। জনগণ সহজেই বুঝতে পারেন, সরকারের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে পরিচালিত হচ্ছে নির্বাচন। এসব নির্বাচনের ফল ছিল পূর্বনির্ধারিত। নির্বাচনের ফল আগে থেকেই ছকে বাঁধা থাকায় রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় তা কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। মানুষ নির্বাচনের ওপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে।

১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি সরকারের পতন হলে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত সিইসি বিচারপতি আবদুর রউফের নেতৃত্বাধীন ইসি এ নির্বাচন পরিচালনা করে। আর সপ্তম (জুন ১৯৯৬), অষ্টম (অক্টোবর ২০০১) ও নবম (২০০৮) জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যথাক্রমে সাবেক সচিব আবু হেনা, সাবেক সচিব এমএ সাঈদ এবং সাবেক সচিব ডক্টর এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন ইসির অধীনে অনুষ্ঠিত হয়। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ায় এসব নির্বাচন একদিকে যেমন ভোটারদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়, তেমনি অন্যদিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়। নির্বাচনের ওপর ভোটারদের ফিরে পাওয়া বিশ্বাস বেশি দিন স্থায়িত্ব পায়নি। নবম সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার বিএনপি সরকার প্রবর্তিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারব্যবস্থা বাতিল করে। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এবং সমমনা ৮টি দল ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় নির্বাচন বর্জন করে। ওই নির্বাচন অনেকটা একদলীয় রূপ নেয়। নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে শাসক দল আওয়ামী লীগ নিয়োগকৃত কাজি রকিবুদ্দিন আহমদ নেতৃত্বাধীন ইসি কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এ নির্বাচনে জাতীয় সংসদের মোট ৩০০ আসনের ১৫৪টিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের গুটিকয়েক সহযোগী দলের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন। দশম সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় এ নির্বাচন দেশ-বিদেশে প্রশ্নবিদ্ধ হয়। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলেও সুষ্ঠু হয়নি বলেই বিবেচিত হয়। এ নির্বাচনে নজিরবিহীন অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ হলো, নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্ধারিত দিনের আগের রাতে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের ব্যালট বাক্সে ভোট প্রদান। অভিযোগ রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও ভোট গ্রহণে দায়িত্বপ্রাপ্ত মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এসব ঘটেছে। ২০১৭ সালের ফেব্রম্নয়ারিতে আওয়ামী লীগ সরকার নিয়োগকৃত এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন ইসি এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। ভোট প্রয়োগের অধিকার থেকে বঞ্চিত হন দেশের জনগণ। দেশ ও বিদেশে দারুণভাবে সমালোচিত হয় এ নির্বাচন। এ নির্বাচনে সংঘটিত নজিরবিহীন অনিয়মের কারণে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম হাউস প্রকাশিত 'ডেমোক্র্যাসি ইন রিট্রিট : ফ্রিডম ইন দ্য ওয়ার্ল্ড ২০১৯' শীর্ষক প্রতিবেদনে বৈশ্বিক গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান তলানিতে নেমে আসে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে