দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে করতে সহযোগিতায় মাঠে কাজ শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিরাপত্তা নিশ্চিতে এর মধ্যেই 'অনসাইড আইডেন্টিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেম (ওআইভিএস)' নামে একটি বিশেষ ডিভাইস নিয়ে মাঠে নেমেছে এলিট ফোর্সর্ যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্(যাব)।
শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে টহল বৃদ্ধি ও চেকপোস্ট স্থাপন করেছে বাহিনীটি। চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ডেকে আঙুলের ছাপ নিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে কে অপরাধী আর কে অপরাধী না।
শনিবার সকাল ১০টার পর রাজধানীর মিরপুর-২ মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে চেকপোস্ট স্থাপন করে বিভিন্ন যানবাহনে তলস্নাশি, সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ ও অনেককে ওআইভিএস প্রযুক্তি ব্যবহারে পরিচয় ও অপরাধের ডাটা খুঁজতে দেখা যায়র্ যাব সদস্যদের।
চেকপোস্টে উপস্থিতর্ যাব সদরদপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ওআইভিএস ডিভাইসের মাধ্যমে আঙুলের ছাপেই বেরিয়ে
আসবে সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটারদের নাম-ঠিকানা। এ ছাড়া ওআইভিএসে আঙুলের ছাপেই শনাক্ত করা সম্ভব হবে দীর্ঘদিন ছদ্মবেশে আত্মগোপনে থাকা অপরাধীদেরও। ইতোমধ্যে এ ডিভাইসের মাধ্যমে ক্লুলেস হত্যাকান্ড ও অপরাধীদের শনাক্ত করেছের্ যাব।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে কেন্দ্রের সামনে ওআইভিএস নিয়ে প্রস্তুত রয়েছের্ যাব। বর্তমানে ১৫টি ব্যাটালিয়নের কমান্ডাররা এ ডিভাইস ব্যবহার করছেন। ভোটকেন্দ্রের সামনে সন্দেহভাজনরা ঘোরাঘুরি করলেই তাদের আঙুলের ছাপ নেবের্ যাব।
তিনি আরও জানান, ২০২১ সালের্ যাব ফোর্সেস প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও ডাটাবেজের সমন্বয়ে আত্মপ্রকাশ করে ওআইভিএস। বিশেষ এ ডিভাইসের মাধ্যমে জাল ভোট দিতে আসা ব্যক্তিরাও শনাক্ত হবে।
তিনি বলেন, এ ডিভাইস চালুর পর হত্যা মামলার আসামি, দুর্র্ধর্ষ সন্ত্রাসীসহ গুরুতর অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছের্ যাব।
কমান্ডার আল মঈন বলেন, ওআইভিএস যন্ত্রটির ব্যবহার শুরুর পর থেকে তাৎক্ষণিক যে কোনো ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে। মোবাইল ফোনসদৃশ ডিভাইসটি ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে যে কোনো স্থান থেকে পরিচালনা করা যায়। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ও অপরাধী শনাক্তের ক্ষেত্রেও ডিভাইসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ডিভাইসটির মাধ্যমে তাৎক্ষণিক জাতীয় পরিচয়পত্র, অপরাধীদের ডাটাবেজ ও কারাভোগের ডাটাবেজের তথ্য পাওয়া যায়। এতে কোনো ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ বা ফিঙ্গারপ্রিন্টে ওই ব্যক্তির তথ্য সহজেই তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়। এতে নিমিষেই জানা সম্ভব হচ্ছে, হত্যাকান্ডের শিকার কিংবা হত্যাকান্ডে জড়িত বা অপরাধমূলক যে কোনো কাজের সঙ্গে ওই ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না। ওআইভিএসের মাধ্যমে শুধু অপরাধী শনাক্তই নয়, বিভিন্ন অজ্ঞাতপরিচয় মৃত ব্যক্তি ও মানসিক প্রতিবন্ধীর পরিচয়ও শনাক্ত করা হচ্ছে এবং তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে অপরাধ তদন্তে আরও গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে।