নড়াইল-২ আসন

মাশরাফিকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী লিটু

প্রকাশ | ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইল-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়জুল আমির লিটু সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রার্থিতা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বুধবার জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থিতা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে ফয়জুল আমির লিটু বলেন, আমি শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ। এ অবস্থায় আমার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাছাড়া আমাকে এমন একটা সময় প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে যখন আমার নির্বাচনী প্রচারণার জন্য প্রস্তুত নই। মাশরাফি আমার এলাকারই সন্তান। তার প্রতি সম্মান জানিয়ে আমি প্রার্থিতা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারও ভয়ে বা প্রলোভনে এ সিদ্ধান্ত নেইনি। প্রধানমন্ত্রী মাশরাফিকে নৌকা দিয়ে যে সম্মান দেখিয়েছেন আমি প্রধানমন্ত্রী ও স্নেহের মাশরাফির প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠ থেকে সড়ে দাঁড়ালাম।' জানা যায়, গত ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে নড়াইল-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে না পেয়ে উচ্চ আদালতে যান লিটু। দীর্ঘ ২৪ দিন দৌড়ঝাঁপের পর হাইকোর্ট নড়াইল-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু প্রার্থিতা ফেরত পান। ২৮ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. ইকবাল কবির এবং বিশ্বজিৎ দেবনাথের দ্বৈত বেঞ্চ আইনানুযায়ী সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটুকে মনোনয়ন গ্রহণ এবং প্রতীক বরাদ্দের আদেশ দেন। আদালতের নির্দেশের পর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু ট্রাক প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু ২০১৪ সাল লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে পরাজিত হন তিনি। এর আগে তিনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানও ছিলেন।