দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে বর্তমানে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে পাস করে নিবন্ধন সনদ পেতে হয়। এরপর গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ মেলে। ২০০৫ সাল থেকে চলে আসা এ প্রক্রিয়া পরিবর্তনে উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এজন্য নতুন একটি আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে থাকছে না নিবন্ধন পরীক্ষা, আসছে নতুন পদ্ধতি।
এদিকে, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) বিলুপ্ত করে পিএসসির আদলে 'বেসরকারি শিক্ষক নির্বাচন ও নিয়োগ সুপারিশ কর্তৃপক্ষ' গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এটি কার্যকর হতে দুই বছরের বেশি সময় লাগতে পারে। তার আগে বর্তমান পদ্ধতিতেই শিক্ষক নিয়োগ হবে।
এনটিআরসিএ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, গত বছরের ২৮ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এনটিআরসিএ আইন, ২০০৫ সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। আইনটি সংশোধন শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হলে ৩০ শতাংশের বেশি সংশোধনী থাকায় নতুন আইন তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপর 'বেসরকারি শিক্ষক নির্বাচন ও নিয়োগ সুপারিশ কর্তৃপক্ষ' নামে নতুন আইনের খসড়া তৈরি করা হয়। খসড়াটি সংশোধনী শেষে চূড়ান্ত করে তা পাসের উদ্যোগ নেওয়া হবে। নতুন আইন কার্যকর হলে এনটিআরসিএ বিলুপ্ত হবে। এর পরিবর্তে সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) আদলে 'বেসরকারি শিক্ষক নির্বাচন ও নিয়োগ সুপারিশ কর্তৃপক্ষ' গঠন করা হবে। এটি চালাবে ১৪ সদস্যের নির্বাহী বোর্ড।
এনটিআরসিএর একাধিক কর্মকর্তা জানান, বেসরকারি শিক্ষক নির্বাচন ও নিয়োগ সুপারিশ কর্তৃপক্ষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করবে। তবে নতুন আইন কার্যকর হতে দেড়-দুই বছর লাগবে। এ সময় আগের মতো নিবন্ধন সনদের ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ হবে।
তারা আরও জানান, এখন শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের পর সুপারিশ পান। এতে অনূর্ধ্ব-৩৫ অথবা নিবন্ধন সনদের মেয়াদ ৩ বছর আছে, এমন প্রার্থীরা আবেদন করতে পারেন। এ কারণে অনেকে বঞ্চিত হন। কিন্তু নতুন পদ্ধতিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বয়স উলেস্নখ থাকবে বলে কাউকে বঞ্চিত হতে হবে না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক অনুবিভাগ-২) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের জন্য নতুন আইন তৈরির কাজ চলছে। আশা করছি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদে আইনটি পাসের জন্য তোলা হবে।