গণতন্ত্র ও আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠাসহ কয়েকটি দাবিতে বিএনপি ও সরকারবিরোধী কয়েকটি দলসমর্থিত আইনজীবীরা আদালত বর্জন কর্মসূচি শুরু করেছেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের নিচের বারান্দা ও ভবনে প্রবেশপথের পাশে তারা অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করেন।
এর আগে 'গণতন্ত্র ও আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বিচারের নামে অবিচার বন্ধের দাবি' ব্যানারে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ১ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে আদালত বর্জনের ডাক দিয়েছে। তবে ১ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে ছুটি থাকায় একদিন পর আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন শুরু করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার পর আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের নিচে এবং সামনের পথের পাশে কাপড় বিছিয়ে অবস্থান নেন। এ সময় তারা আদালত বর্জনের লিফলেট বিতরণ করেন এবং সরকারবিরোধী স্স্নোগান দেন। কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া আইনজীবীরা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবিসহ পস্ন্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
সমাবেশে বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, 'আমরা সকাল ৯টা থেকে আদালত বর্জন কর্মসূচি শুরু করেছি সারাদেশে বিচারের নামে যে অবিচার-প্রহসন হচ্ছে তার প্রতিবাদে। দেশের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিচারের নামে যে অবিচার হচ্ছে, খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। তারেক রহমানকেও সাজা দেওয়া হয়েছে।' এ সময় তিনি নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের সাজার প্রসঙ্গেও কথা বলেন।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় সোমবার মুহম্মদ ইউনুসকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। কায়সার কামাল অভিযোগ করেন, 'বিরোধী দলের নেতাদের প্রহসনের বিচারের নামে সাজা দেওয়া হচ্ছে। এসব অন্যায়ের প্রতিবাদে আমরা আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করছি। আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আমরা আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করব।'
সমাবেশে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি আব্দুল জব্বার ভুইয়া, সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল, ইউনাইটেড ল'ইয়ারস ফ্রন্টের সমন্বয়ক সৈয়দ মামুন মাহবুবসহ শতাধিক আইনজীবী অংশ নেন।