আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন দলের প্রার্থীদের দেওয়া হলফনামা যাচাই-বাছাই করতে পারে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার দুদক কার্যালয়ে এমজিআইর্-যাক বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড ২০২৩-এর পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুলস্নাহ।
প্রার্থীদের অস্বাভাবিক সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আর মাত্র ৭ দিন বাকি। নির্বাচনটা শেষ হোক। নির্বাচন শেষে প্রার্থীদের সম্পদের হিসাবের সত্য-মিথ্যা যাচাই করার সুযোগ আছে আমাদের।
দুর্নীতি দমনে সাংবাদিকদের ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, সাংবাদিক ও দুদক একে অপরের পরিপূরক। আমরা চাই আপনারা দুর্নীতি নিয়ে ভালো ভালো রিপোর্ট করবেন। আপনারা যখন বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য পাবেন, তথ্য নিয়ে অনুসন্ধান করবেন। অনুসন্ধান করে মুদ্রার দুই পিঠ তুলে ধরবেন, তাতেই আমরা লাভবান হব।
তিনি বলেন, এমনভাবে রিপোর্ট করবেন যাতে দুর্নীতিটা বন্ধ হয়। সবার কাছে একটা অনুরোধ, আপনারা কোনো ফরমায়েশি প্রতিবেদন করবেন না। এতে সেই প্রতিবেদন বস্তুনিষ্ঠ হবে না। নিউজের স্বকীয়তাও থাকে না।
এ সময় দুদকের কমিশনার আসিয়া খাতুন বলেন, আমরা সাংবাদিকদের কাছ থেকে ভালো ভালো রিপোর্ট ও রিপোর্টের অনুসন্ধান চাই। রিপোর্টে দুর্নীতির উন্মোচন করতে হবে। স্টোরি এমন হবে যাতে আমরা (দুদক) এগুলো নিয়ে কাজ করতে পারি। আপনাদের কাছে অনুরোধ, আপনারা প্রতিটি দুর্নীতির ঘটনার গভীরে প্রবেশ করে, ইনডেপথ রিসার্চ করে প্রতিবেদন প্রস্তুত করবেন।
এ সময় দুদক কমিশনার মো. জহুরুল হক, দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেনসহ কমিশন ও র?্যাকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্য শেষে ৩ জনকে তিন ক্যাটাগরিতে এমজিআই-র?্যাক বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ তুলে দেওয়া হয়।
প্রিন্ট মিডিয়া ক্যাটাগরিতে বাংলা ট্রিবিউনের বিশেষ প্রতিনিধি নুরুজ্জামান লাবু, অনলাইন ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ঢাকা পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এফ এম আবদুর রহমান মাসুম ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ক্যাটাগরিতে মাই টিভির সিনিয়র রিপোর্টার মাহবুব সৈকত।