দিনাজপুর-৫ আসন

উত্তাপহীন ভোটে আগ্রহ হারাচ্ছেন ভোটাররা!

প্রকাশ | ০২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুর জেলার রাজনৈতিক সূতিকাগার খ্যাত ফুলবাড়ী ও পার্বতীপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত দিনাজপুর-৫ আসন। এ আসনে টানা সাতবার নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান। এবারের নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী। আর তার বিপক্ষে ভোটের লড়াইয়ে মাঠে থাকা তিন প্রার্থীই নতুন। ভোটের দিন ঘনিয়ে এলেও এসব প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণার দেখা মিলছে না। এছাড়া এসব প্রার্থীর রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থানও সুদৃঢ় নয়। অনেক প্রার্থীর নাম জানেন না সাধারণ ভোটাররা। সব মিলিয়ে উত্তাপহীন নির্বাচন ঘিরে সাধারণ ভোটাররা ভোট দেওয়ার আগ্রহ হারাচ্ছেন। এদিকে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রমুখী করতে পাড়া-মহলস্নায় ব্যাপক গণসংযোগ চালাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা। উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে এবারের নির্বাচনে এ আসন থেকে ৬ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও জাকের পার্টির প্রার্থী হারুন আর রশিদ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন পাঁচজন। এরা হলেন- আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট নূরল ইসলাম, পিপলস পার্টির শওকত আলী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্রিগেডিয়ার জে. (অব.) তোজাম্মেল হক ও অ্যাডভোকেট হযরত আলী বেলাল। আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছাড়া অন্য প্রার্থীরা সবাই নতুন মুখ। এ অঞ্চলে কখনো তাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড দেখা যায়নি, এমন কি গণসংযোগেও দেখা মিলছে না তাদের। এছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় পার্টির সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের আসন ভাগাভাগির খবরে ভোটের মাঠে গুরুত্ব হারিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী। সবশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এক লাখ ৮৮ হাজার ৬৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির এজেডএম রেজওয়ানুল হক। তিনি পান এক লাখ ২৮ হাজার ৫৬৭ ভোট। সে সময় জাতীয় পার্টির প্রার্থী সোলায়মান সামি পেয়েছিলেন মাত্র ২৪০ ভোট। এদিকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়া এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা মাঠে না থাকায় এ আসনে ভোটের আগেই ফলাফল নিশ্চিত হয়ে গেছে বলে মনে করছেন ভোটাররা। এতে সাধারণ ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ হারাচ্ছেন। ফলে ভোটারদের কেন্দ্রে টানাই এখন আওয়ামী লীগের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন পর্যবেক্ষকরা।