আ'লীগ এই নির্বাচনে জাপাকে কোনো ছাড় দেয়নি :জি এম কাদের
প্রকাশ | ০২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও রংপুর-৩ আসনের লাঙ্গলের প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ২৬টি আসনে কোনো ভাগাভাগি হয়নি, এগুলো অপপ্রচার। আমরা সব জায়গায় চেয়েছিলাম প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা। আরেকটা চেয়েছিলাম অস্ত্র-পেশিশক্তি ও অর্থের প্রভাব থেকে নির্বাচনকে সরিয়ে রাখা। তাহলে আমরা নির্বাচন করব। সেখানে আওয়ামী লীগ নিজেদের ইচ্ছায় নৌকা প্রার্থী উঠিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু একইসঙ্গে এসব আসনে তাদের শক্ত-সমর্থ স্বতন্ত্র প্রার্থী রেখেছেন। তারা কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নয়, তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী। সেই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে আওয়ামী লীগ সরাসরি কাজ করছেন।
সোমবার সকালে রংপুর আদালত চত্বরে গণসংযোগকালে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, আমাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন না। আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে কোনো ছাড় দেয়নি। বরং যে ২৬টি আসনে নৌকা তুলে নিয়েছে ২-১টি বাদে সব আসনেই আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে। তাদের পক্ষেই তারা কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, অন্যায়-অত্যাচার সহ্য করে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকতে প্রার্থীদের রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে প্রার্থীদের রাজনৈতিক জীবনে বড় কলঙ্ক হয়ে যায়। এতে মানুষ ভাবে হয় প্রতিপক্ষের সঙ্গে আঁতাত করে কিছুর বিনিময়ে সরে দাঁড়িয়েছে কিংবা ভয় পেয়ে নির্বাচনের মাঠ ছেড়েছে। এটি রাজনীতির জন্য শুভকর নয়। পরে আইনজীবী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে গণসংযোগ করে লাঙ্গলে ভোট প্রার্থনা করেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন কো-চেয়ারম্যান রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এসএম ইয়াসির, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আজমল হোসেন লেবু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাফিউল ইসলাম শাফি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য লোকমান হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, হাসানুজ্জামান নাজিমসহ অনেকে।
জি এম কাদের সাংবাদিকদের প্রশ্ন রেখে বলেন, তাহলে আমাদের ছাড়টা কোথায় দেওয়া হলো? আমরা তাদের সঙ্গে সব জায়গায় সরাসরি প্রতিযোগিতা করছি। কাজেই ভাগাভাগি কোথায় হলো। আমরা আশাবাদী নৌকার সঙ্গে সরাসরি ফাইট দিয়েও অনেক জায়গায় জয়লাভ করতে পারব। যদি পরিস্থিতি পরিবেশ ভালো থাকে।
এরপর বিকাল ৩টায় তার দলীয় কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে তিনি বলেন, আবহাওয়াজনিত কারণে অনেক স্থানে প্রচার-প্রচারণায় কম লোকজন দেখা যাচ্ছে। পৃথিবীর বড় দেশগুলোতে এমন হয়। ভোট দেওয়াটা আমাদের দায়িত্ব। আমি আহ্বান করব সবাই কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়ে আপনার মতামত জানাবেন।
রংপুর-৩ আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের (লাঙ্গল) ছাড়াও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আব্দুর রহমান রেজু (একতারা), বাংলাদেশ কংগ্রেসের একরামুল হক (ডাব), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সহিদুল ইসলাম (মশাল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শফিউল আলম (আম) এবং তৃতীয় লিঙ্গের আনোয়ারা ইসলাম রানী (ঈগল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ আসনটি রংপুর সদর ও সিটি করপোরেশনের ৯ থেকে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭৬৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৪৭ হাজার ২৯৪ জন ও পুরুষ ২ লাখ ৪৭ হাজার ৪৭২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে দুজন।