রাজনৈতিক সহিংসতায় ঝরেছে ৪২ প্রাণ
২০২৩ সালে সারা দেশে ৪০০টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে
প্রকাশ | ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) জানিয়েছে, ২০২৩ সালে সারা দেশে ৪০০টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় ৪২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আর এসব সহিংসতার ঘটনায় ৪ হাজার ৭৭১ জন আহত-গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) আয়োজিত বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৩ : এমএসএফের পর্যবেক্ষণ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন এমএসএফের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট সাঈদুর রহমান। তিনি জানান, চলতি বছরে নির্বাচনী সহিংসতার ১৩৮টি ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছেন। মুখোশ পরে গুপ্ত হামলার ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া ২০২৩ সালে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের ১৫টি ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্বারা অপহরণের অভিযোগ এসেছে ৮৯টি। এ বছরে পুলিশ হেফাজতে ১৭, কারা হেফাজতে ১৬০ জনের মৃতু্য হয়েছে। চলতি বছরে অজ্ঞাতনামা ৩৫২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ বছর সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে ৬২টি। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৬৩ জন। সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ২৭ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ৩২ জন। তবে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা কমে এসেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৮১, এ বছর তা নেমে এসেছে ৬৩-তে।
অনুষ্ঠানে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেছেন, 'মানবাধিকারের কথা তুললে সরকার বিরক্ত হচ্ছে। যারা মানবাধিকারের কথা বলছেন, তাদের বৈরিতার জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাষ্ট্র ও মানবাধিকারকর্মীদের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে।'
দেশের গত এক বছরের মানবাধিকার পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সুলতানা কামাল বলেন, রাষ্ট্রের দায়িত্ব মানবাধিকারের প্রতি সম্মান করা, সুরক্ষা দেওয়া এবং মানবাধিকারবোধ বাস্তবায়ন করা। গত এক বছরে এসব ব্যাপারে রাষ্ট্র মনোযোগী ছিল না। যখনই মানবাধিকারের কথা উঠেছে, তারা আত্মরক্ষামূলক কথা বলেছে।
মানবাধিকার সুরক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান করা হয়নি। মানবাধিকারবোধ সঞ্চারে সরকার বুদ্ধিবৃত্তিক পদক্ষেপ নেয়নি। সরকারের আচরণ দেখলে মনে হয়, মানবাধিকারের বিষয়গুলো তারা গুরুত্বপূর্ণভাবে নিচ্ছে না।?তিনি আরও বলেন, সরকার মনে করছে শুধু অবকাঠামো উন্নয়ন হলেই যথেষ্ট। মানুষের মনমানসিকতা, মানবাধিকারবোধ উন্নয়নে যেন তাদের দায়িত্ব নেই।
সংবাদ সম্মেলনে 'বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৩ : এমএসএফের পর্যবেক্ষণ' শীর্ষক একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন এমএসএফের প্রধান নির্বাহী সাইদুর রহমান।