বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়নে সামাজিক শক্তি অপরিহার্য

'বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়নের জন্য ঐক্যবদ্ধ সামাজিক শক্তি প্রয়োজন। সামাজিক এই শক্তি তৈরি করতে প্রয়োজন উন্নয়ন ও উন্নয়ন সহযোগিতাগুলোর স্থানীয়করণ, অন্তর্ভুক্তি বা ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস। সেই সঙ্গে দরকার সহনশীলতার মানসিকতা। দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য এ ধরনের সামাজিক শক্তি অপরিহার্য। বুধবার স্থানীয় ও জাতীয় প্রায় ৬০০ এনজিও-সিএসও'র নেটওয়ার্ক বিডিসিএসও আয়োজিত বার্ষিক সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে বক্তারা এই অভিমত প্রকাশ করেন। 'বৃহত্তর নাগরিক সমাজ সংগঠন বিকাশে অন্তর্ভুক্তিমূলক-সহনশীলতার সংস্কৃতি' শীর্ষক এই ভার্চুয়াল অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি ডক্টর আতিউর রহমান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর জুডিথ বারবার্টসন, ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব ভলান্টারি অ্যাসোসিয়েশনের ইগনাসিও প্যাকার এবং বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর'র প্রতিনিধি জোহানেস ভ্যান ডার ক্লাউ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন- হিউম্যানিটারিয়ান এইড ইন্টারন্যাশনালের সুধাংশু শেখর সিং (ভারত), বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের শরীফ জামিল এবং ক্রেডিট ডেভেলপমেন্ট ফোরামের সভাপতি মোর্শেদ আলম সরকার। এ ছাড়া আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন- আরপিএস'র আকবর হোসেন, আফাদ'র সৈয়দা ইয়াসমিন এবং বিএনএনআরসি'র এএইচএম বজলুর রহমান। অধিবেশন পরিচালনা করেন মোস্তফা কামাল আকন্দ ও ইকবাল উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন- জাতীয় সমন্বয়ক রেজাউল করিম চৌধুরী। ডক্টর আতিউর রহমান বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা টিকা নিয়েও এক ধরনের বর্ণবাদ এবং দ্বন্দ্ব রয়েছে, অথচ বাংলাদেশ তার সীমিত সামর্থ্য নিয়েই লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে, এটা আমাদের জন্য অবশ্যই গর্বের একটি বিষয়। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক শক্তি ও সম্প্রদায়ের উদ্যোগ খুবই সীমিত, এটি আমাদের অর্থনীতির ওপর বিশাল চাপ, কিন্তু আমরা তাদের মর্যাদা রক্ষায় প্রতিশ্রম্নতিবদ্ধ। বাংলাদেশিরা নৈতিকতা ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সুধাংশু শেখর সিং বলেন, অন্তর্ভুক্তি এবং সহনশীলতার ক্ষেত্রে ভিন্নমতকেও শুনতে হবে এবং সমালোচনামূলক সুশীল সমাজ বিকাশের সুযোগ রাখতে হবে। তিনি ধনী দেশের পরামর্শ মতো কাজ না করে তৃতীয় বিশ্বের নাগরিক সমাজকে তাদের নিজস্ব বিষয়বস্তু তৈরি করার আহ্বান জানান।