রূপগঞ্জে মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর ফাঁকা গুলি, আহত ৯

প্রকাশ | ২৭ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের সাওঘাট মধ্য মণিপাড়া দুর্গামন্দিরে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলাকারীরা মন্দিরে ভাঙচুর করে। এ সময় ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। তখন বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীদের হামলায় নারীসহ নয়জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে অসত কুমার দাস (৩২), রবিন দাস (১৪), সজিব চন্দ্র দাস (২৬), জয়মালা (৭০), শেফালী দাস (৬০), রিনা দাসকে (৪০) স্থানীয় ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বহিরাগত ৩৫/৪০ সদস্যের একদল লোক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মন্দিরে হামলা চালায়। হামলাকারীরা মন্দিরে পূজা অর্চনাকারীদের লাঞ্ছিত করে। মহিলাদের টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। মহিলাদের সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার লুটপাট করে। একপর্যায়ে তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। সাওঘাট মধ্য মণিপাড়া দুর্গামন্দির কমিটির সভাপতি বিধু ভূষণ চন্দ্র দাস বলেন, সাওঘাট মৌজার সিএস ২১১, এসএ ২২৬ ও আরএস ৬০নং দাগের ৯ শতাংশ জমি নিয়ে মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়। মন্দিরে সন্ধ্যায় পূজা অর্চনা করার সময় সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায়। এছাড়া ভূমিদসু্যরা জাল দলিল সৃজন করে দীর্ঘদিন ধরে মন্দিরের জমি দখলে নেওয়ার পাঁয়তারা করে আসছে। তারই জের ধরে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। তারা মন্দিরে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। দুর্গামন্দিরে রক্ষিত কালীমন্দির ভাঙচুর করে। মন্দির কমিটির সহ-সভাপতি উপেন্দ্র চন্দ্র দাস বলেন, প্রায় দেড় শতাধিক বছর ধরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা জমিটি ভোগ দখল করে আসছে। এই জমিতে ৭/৮ বছর আগে দুর্গা মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়। খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা সহকারী সিনিয়র পুলিশ সুপার মাহিন ফরাজি ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় মন্দির এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। \হ \হ